স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গমাতার ভূমিকা অগ্রগণ্য (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৮, ৮ আগস্ট ২০২০
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মদিন আজ। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণার উৎস; সকল সংকটে ছিলেন পাশে, সাহস যুগিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন। বহু ঐতিহাসিক ঘটনারও পরামর্শদাতা এই মহিয়সী নারী। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে, পরিবারের পাশাপাশি আগলে রেখেছেন দলের নেতার্কমীদের। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়ও বঙ্গমাতার ভূমিকা অগ্রগণ্য।
বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বাধীন, সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নেয়ার পথেও রেখেছেন সাহসী ভূমিকা।
দলে বঙ্গমাতার ভূমিকা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমাদ জানান, এতো বড় সংসার, এতো বড় দল চললো কিভাবে? বঙ্গমাতার কথা সেই দল শুনতে বাধ্য হয়েছে এবং তারা দেখেছে যে, উনি যা বলেছেন তা ভাল কথাই বলেছেন, ঠিক কথাই বলেছেন।
১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত শেখ পরিবারে জন্ম শেখ ফজিলাতুন্নেছার। বাবা শেখ জহুরল হক ও মা হোসনে আরা বেগমের দুই মেয়ের মধ্যে ছোট শেখ ফজিলাতুন্নেছা। ডাক নাম রেণু। ৫ বছর বয়সেই বাবা-মাকে হারান। দাদা শেখ মোহাম্মদ আবুল কাসেমের দায়িত্বে বেড়ে উঠেন দুই বোন।
১৩ বছর বয়সে বিয়ে হয় শেখ মুজিবের সাথে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগ্রামে পাশে ছিলেন জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি।
নাসরিন আহমাদ জানান, ওনার শ্বশুরবাড়িতে উনি বড় হয়েছেন। সেই শাশুড়ি সেই শ্বশুর, তাকে নিজের মেয়ের মতো করে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুই তো লিখে গেছেন তাঁর জীবনে কতো বড় প্রভাব ফেলেছেন তিনি।
রত্নগর্ভা নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা ২ কন্যা ও তিন পুত্রের জননী। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের জননী নিজ মহিমায় হয়ে উঠেন বঙ্গমাতা।
নাসরিন আহমাদ বলেন, বঙ্গমাতার সবচেয়ে বড় গুণ, উনি কিন্তু সবাইকে আপন করে নিতে পারতেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঘাতকের হামলা। পুরো পরিবার ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের সম্মুখিন। জঘন্য হত্যাযজ্ঞে জীবনের আহুতি। শহীদ হন দশ বছরের রাসেল, শেখ কামাল, শেখ জামাল, পুত্রবধূ এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা। ওইদিন বিদেশে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। জীবনের শেষ সময়েও বঙ্গবন্ধুর পাশে বঙ্গমাতা।
বঙ্গমাতার সাহস, ত্যাগ, দায়িত্বশীলতা, ধৈর্য্য আর মমতা ইতিহাসের পাতায় থাকবে চিরঅম্লান হয়ে।
এএইচ/এমবি