ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

শচীন দেববর্মণের ৪৬তম প্রয়াণ দিবস আজ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৪, ৩১ অক্টোবর ২০২০

কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গীতিকার শচীন দেববর্মণের ৪৬তম প্রয়াণ দিবস আজ। ১৯৭৫ সালে মুম্বাইয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনন্তে পাড়ি জমান এই সঙ্গীতের বরপুত্র। তিনি প্লে-ব্যাক করেছেন বহু চলচ্চিত্রেরও। 

শচীন দেববর্মণ ১৯০৬ সালে কুমিল্লার এক সম্ভ্রান্ত সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সঙ্গীতজ্ঞ নবদ্বীপচন্দ্র দেববাহাদুর ছিলেন ত্রিপুরা রাজবংশের সন্তান। শচীন আগরতলার বাসিন্দা হলেও তার শৈশব কেটেছে কুমিল্লায়। মর্ত্যরে রাজার আসন ছেড়ে শচীন হয়ে উঠেছিলেন গানের ভূবণের সম্রাট।

শচীন কুমিল্লা থেকে ম্যাট্রিক, আইএ ও বিএ পাস করার পর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম এ করেন। পরে কিছুদিন ত্রিপুরার রাজদরবারে চাকরি করেন। ছোটবেলা থেকেই লোকসঙ্গীতে আকৃষ্ট শচীন রাগসঙ্গীতের সংমিশ্রণে সুরারোপ করে সৃষ্টি করেন নতুন ধারার সুরজাল।  

ধ্রুপদী ও রাগসঙ্গীতের সঙ্গে ছিলো শচীনের নিবিড় সম্পর্ক। তিনি তালিম নিয়েছেন বাদল খাঁ, আলাউদ্দীন খাঁ, ফৈয়াজ খাঁ, ভীস্মদেবসহ আরো কয়েকজন প্রখ্যাত সঙ্গীত গুরুর কাছে। 

তিনি গুরুর আশীর্বাদ ধন্য মানুষ। গান হয়ে উঠে তার জীবনের প্রধান উপজীব্য। প্রচুর গ্রামোফোন রেকর্ড বের হতে থাকে তার। পাশাপাশি বন্ধু কবি নজরুলের অসংখ্য গানও রেকর্ড করেন তিনি। 

অসংখ্য ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেন শচীন দেব। ১৯৪৪ সাল থেকে তিনি মুম্বাইয়ে বসবাস শুরু করেন। ৮০টিরও বেশি হিন্দি সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা করে চিত্রজগতেও বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।

এ বিষয়ে শচীন দেববর্মণ গবেষক এ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক বলেন, ‘তিনি বাংলার মাঠে, ঘাটে যে সুরটা আছে তা পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দিয়েছেন।’

সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও অসংখ্য পদক-পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি