১২ অক্টোবর শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি পুলিশ
প্রকাশিত : ২০:৩২, ৯ মে ২০২৩
১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা সমগ্র পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি করেন। সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল আইয়ুব খাঁনকে তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন। পাকিস্তানের সামরিক সরকার সব ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করে আইন জারি করে। বঙ্গবন্ধু তখন রাজনীতিতে বিশেষভাবে সরব হয়ে উঠেছেন। হঠাৎ করে ১২ অক্টোবর শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি পুলিশ। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতাকে পাঠায় কারাগারে। এই দফায় তিনি ১৪ মাস জেলে ছিলেন। মুজিব বন্দি থাকা অবস্থায় একের পর এক তাঁর নামে মিথ্যা মামলা দেয় সরকার। এমননি তিনি মুক্তি পেলেও জেলখানার ফটক থেকে আবারও আটক করে পাকিস্তান পুলিশ।
২৭ অক্টোবর ঘটে পাকিস্তানের ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য আরেকটি ঘটনা। সেনা সর্বাধিনায়ক আইয়ুব খাঁন প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জাকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন। রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হন তিনি নিজেই। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেয়ার পর আইয়ুব খাঁন প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে বৈরীপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। যাতেকরে দেশটি শোষণ-নির্যাতন, জেল-জুলুমের বিরুদ্ধে কোনো কথা না বলে। যদিও বহু পরে ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গণঅভ্যুত্থানের মুখে আইয়ুব খাঁন পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে অবসান ঘটে তার ১১ বছরের রাষ্ট্রপতি শাসনের।
( ড. অখিল পোদ্দার, প্রধান বার্তা সম্পাদক, একুশে টেলিভিশন)
email: podderakhil@gmail.com