সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক শাহাদত চৌধুরীর জন্মদিন আজ
প্রকাশিত : ১৮:১১, ২৯ জুলাই ২০১৯
শাহাদত চৌধুরী। একজন মুক্তিযোদ্ধা। একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। একজন সাংবাদিক। একজন সম্পাদক। একজন শিল্পী যিনি অনেক বিখ্যাত ও জনপ্রিয় গ্রন্থের প্রচ্ছদ করেছেন। ১৯৪৩ সালের ২৮ জুলাই, সিংহ রাশিতে এই সিংহ পুরুষ জন্মগ্রহণ করেন।
শাহাদত চৌধুরীর বিশাল কর্মযজ্ঞের কয়েকটি উল্লেখ করছি, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠনের নেপথ্যের অন্যতম প্রধান রূপকার। স্বাধীনতার পর বাঙালি মধ্যবিত্তের রুচি গঠন ও বিকাশের গাইড ছিল শাহাদত চৌধুরীর বিচিত্রা। আমাদের আজকের যে দেশীয় পোশাকের বিশাল সম্ভার, তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহাদত চৌধুরী। দেশীয় পোশাক নিয়ে ‘বিচিত্রা ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা’ শাহাদত চৌধুরীর সূচনা।
ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতার সূচনালগ্নে দেশে সেই অর্থে মডেল ছিল না। নিজের এবং আত্মীয়-পরিজনের সন্তানদের দেশীয় পোশাক পরিয়ে ছবি তুলে সূচনা করেছিলেন।
শাহাদত চৌধুরী এ দেশে ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। মৌসুমী, মৌ, পপি, অপি, কুসুম..আরও অনেকে শাহাদত চৌধুরীর আবিষ্কার। আজকে যে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারের একঝাঁক তারকা। সেই ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতারই আরেক ধাপ।
খালেদ মোশারফের ২ নম্বর সেক্টরে গেরিলা শাহাদত চৌধুরী। গেরিলা তারা তিন ভাই শাহাদত চৌধুরী, ফতেহ চৌধুরী, মোরশেদ চৌধুরী। ’৭১-এ ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম ঘাঁটি ছিল শাহাদত চৌধুরীদের হাটখোলার বাড়ি। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’র পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছেন শাহাদত চৌধুরী।
শাহাদত চৌধুরীর বন্ধু’ শুধু এই পরিচয়ে কত ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তারা কেউ আজ এই মানুষটিকে স্মরণ করার, শ্রদ্ধা করার প্রয়োজন মনে করেন না। এমনকি তার নিজের গড়া প্রতিষ্ঠানও না।
শাহাদত চৌধুরীর স্ত্রী সেলিনা চৌধুরী, দুই মেয়ে শাশা, এষা, জামাতা সাইমন-হয়তো পারিবারিকভাবে স্মরণ করবেন এই মানুষটিকে। ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর শাহাদত চৌধুরী এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।
টিআর/