ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

লরিয়েল-ইউনেসকো পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বিজ্ঞানী ড. ফিরদৌসী কাদরী। ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞানী ড. ফিরদৌসী কাদরী। ছবি: সংগৃহীত

নারীদের সম্মানজনক পুরস্কার লরিয়েল-ইউনেসকো পেয়েছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. ফিরদৌসী কাদরী। উন্নয়নশীল দেশে শিশুদের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে অবদান রাখায় তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

মহাখালির আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরী এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সেরা বিজ্ঞানী নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ১২ মার্চ প্যারিসে ইউনেসকোর সদর দফতরে তাঁকে পুরস্কৃত করা হবে। সেখানে সম্মাননা ও এক লাখ ইউরো তুলে দেওয়া হবে এই বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর হাতে।

এছাড়া বিজ্ঞানী ফিরদৌসী কাদরী ২০১২ সালে ইন্সতিতুত দ্য ফ্রাঁস-এর ‘ক্রিস্তোফ মেরো’ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১০ সালে আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজির ‘মজিলো ক্যাচিয়ার পুরস্কার’ অর্জন করেন এই মহীয়সী নারী। 

ড. ফিরদৌসী কাদরী বাংলাদেশী প্রতিষেধকবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগ গবেষণাকারী বিজ্ঞানী। তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে কলেরার টিকা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ইটিইসি, টাইফয়েড, হেলিকোব্যাকটের পলরি, রোটা ভাইরাস ইত্যাদি অন্যান্য সংক্রামক রোগে বিশেষজ্ঞ। 

বর্তমানে তিনি টীকাবিদ্যার কেন্দ্রস্থল ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

২০০৮ সালে ফিরদৌসী কাদরী বাংলাদেশ একাডেমী অফ সায়েন্স থেকে গোল্ড মেডেল পান। ২০০২ সালে ড. কাদরী উন্নয়নশীল দেশে সংক্রামক আন্ত্রিক রোগ গবেষণার জন্য ক্রিস্টোফ মেরিএউক্স পুরস্কার পান। ২০১৩ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমী বার্ষিক সি.এন.রাও  পুরস্কার পান, যেটা তাওস থেকে দেওয়া হয়।

ফিরদৌসী কাদরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগ থেকে সম্মান ও স্নাতক-দুটোতেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন। এরপর যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। লেখাপড়া শেষে ফিরে আসেন দেশে। আর ১৯৮৮ সালে যোগ দেন আইসিডিডিআরবিতে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি