ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ইতালির এক ফুটবল কিংবদন্তির মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫০, ২৩ জুন ২০২০

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা ও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ইতালির সাবেক ফুটবলার পিয়েরিনো প্রাতি আর নেই। সোমবার না ফেরার দেশে চলে যান আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (এফআইজিসি)। 

তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্যারিয়ারটা খুব বড় নয় প্রাতির। ১৯৬৮-৭৪ পর্যন্ত আজ্জুরিদের হয়ে মাত্র ১৪টি ম্যাচ খেলেন এই স্ট্রাইকার, গোল করেন সাতটি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

প্রাতির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে এফআইজিসি’র সভাপতি গাব্রিয়েলে গ্রাভিনা বলেন, “আরও একজন চ্যাম্পিয়নের বিদায়ে ইতালিয়ান ফুটবল শোকার্ত। প্রাতি ছিলেন অবিশ্বাস্য একজন ফুটবলার, খুব ভালো মানের একজন স্ট্রাইকার, তারকা। যে দলের হয়ে খেলেছেন দ্যুতি ছড়িয়েছেন।”

১৯৬৮ সালে ইতালির ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রাতি। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেন ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপেও। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ওই আসরের ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয় ইতালি।

ক্লাব ফুটবলে এসি মিলানের কিংবদন্তি ছিলেন প্রাতি। নিজ শহরের এই ক্লাবেই ফুটবলে হাতেখড়ি তার। এসি মিলানের যুব দল থেকে ওঠে আসা এই খেলোয়াড় মূল দলের হয়ে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৩ সময়ে ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল সময় । ১৯৬৯ সালে ইয়োহান ক্রুইফের আয়াক্সের বিপক্ষে ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে মিলানকে শিরোপা জেতান প্রাতি।

১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে মিলানকে চ্যাম্পিয়ন করতে লিগের সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন প্রাতি। এছাড়া ক্লাবটির হয়ে দুটি ইতালিয়ান কাপ, দুটি ইউরোপিয়ান উইনার্স কাপ ও একবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জেতেন তিনি।

মিলান পর্ব শেখে ১৯৭৩ সালে রোমায় নাম লেখান পিয়েরিনো প্রাতি। ক্লাবটির হয়ে খেলেন ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত। এরপর সালেরনিতানা, সাভোনা, ফিওরেন্তিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব রোসেস্টার ল্যান্সারের হয়েও খেলেছেন এই ফুটবলার।

অবসর নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি ক্লাবের হয়ে কোচিং করিয়েছেন প্রাতি। এরকমই একটি ক্লাব এসি মিলান, প্রাতির মৃত্যুতে তারা টুইটারে লিখেছে- “আমাদের ইতিহাসের এক মহাতারকা তার চোখ বুজেছে।”

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি