ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বিসিসিআইকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে শশাঙ্ক: শ্রীনিবাসন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৩, ২ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১৯:০১, ২ জুলাই ২০২০

এন শ্রীনিবাসন

এন শ্রীনিবাসন

আইসিসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শশাঙ্ক মনোহর। প্ৰথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসাবে ২০১৫ সালে আইসিসির দায়িত্ব নেন তিনি। এর পর টানা দুই টার্মে ক্ষমতায় ছিলেন। তবে আরও থাকার সুযোগ ছিল ভারতীয় এই ক্রিকেট প্রশাসকের। কিন্তু সে পথে তিনি হাঁটেননি। পদত্যাগের পর মনোহরের দিকে অভিযোগ আনলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি শ্রীনিবাসন।

এন শ্রীনিবাসন অভিযোগ তুলে বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের ক্ষতি করে বিশ্বের কাছে বিসিসিআইয়ের প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন শশাঙ্ক মনোহর। আর বিসিসিআইয়ের প্রশাসক হিসাবে সৌরভ গাঙ্গুলী, জয় শাহ-এর আসার পরই পালিয়ে যেতে একপ্রকার বাধ্য হলেন শশাঙ্ক।’

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীনিবাসন জানান, “বিসিসিআই-তে যখনই নতুন প্রজন্মের কোনো নেতা উঠে এসেছে, তখনই শশাঙ্ক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতো। সে জানত, এখানে তার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত নয়। তাই শশাঙ্ক পালিয়ে গেল।”

আইসিসির প্ৰথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসাবে ২০১৫ সালে দায়িত্ব নেন শশাঙ্ক মনোহর। এর পর টানা দুই টার্মে ক্ষমতায় ছিলেন। তবে নিজের বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল ভারতীয় এই ক্রিকেট প্রশাসকের কাছে। আইসিসির রুল বুক অনুযায়ী স্বাধীন চেয়ারম্যানরা তিনটা টার্ম পদে থাকতে পারেন। তবে শশাঙ্ক দুই টার্মের পরেই সরে দাঁড়ালেন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও। তাঁর পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হয়েছেন হংকংয়ের ইমরান খাজা।

শ্রীনিবাসন জানালেন, “ভারতীয় ক্রিকেটের এতটাই ক্ষতি করেছে শশাঙ্ক যে দেশের ক্রিকেট মহল ওর প্রস্থানে খুশিই হবে। ভারতীয় ক্রিকেটের অর্থনীতিতেই আঘাত করেছে সে। শশাঙ্ক পুরোপুরি ভারত-বিদ্বেষী। বিশ্বক্রিকেটে ভারতের প্রাসঙ্গিকতা অনেক কমিয়ে দিয়েছে সে।”

ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেন, “শশাঙ্ক এখন পালিয়ে যাচ্ছে, কারণ বর্তমান শাসকরা ওকে মোটেই পাত্তা দেয়না। বিসিসিআইকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছেন উনি।”

জানা যায়, শশাঙ্ক মনোহরের পদত্যাগের পর আইসিসির চেয়ারম্যান পদের লড়াইয়ে রয়েছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সাবেক প্রধান ডেভ ক্যামেরন এবং বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

এএইচ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি