হায়দরাবাদকে ১৬৪ টার্গেট দিলো কলকাতা
প্রকাশিত : ১৯:০১, ১৮ অক্টোবর ২০২০
চাপ কাটিয়ে সম্মানজনক স্কোর খাড়া করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আজ রোববার আবু ধাবিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়ে গিয়েছিল কেকেআর। সেখান থেকে নতুন অধিনায়ক ইয়ন মরগান ও সদ্য সাবেক অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের জুটিতে ১৬৩ রানের পুঁজি পেল কলকাতা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও ৪৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় কলকাতা। নটরাজনের বলে বোল্ড হয়েছিলেন রাহুল ত্রিপাঠী (১৬ বলে ২৩)। এরপর ১১.৪ ওভারে ৮৭ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। রশিদ খানের বলে লং অফে শুভমান গিলের (৩৭ বলে ৩৬) ক্যাচ ধরলেন প্রিয়ম গার্গ। আর তৃতীয় উইকেট পড়ে তার পরের ওভারেই। বিজয় শঙ্করের বলে নীতিশ রানার (২০ বলে ২৯) ক্যাচটাও ধরলেন সেই প্রিয়মই।
প্রিয়মের দুটো ক্যাচই প্রশংসা কুড়ালো এদিন। ফলে ৮৮ রানে তিন উইকেট হারাল কলকাতা। চতুর্থ উইকেট পড়ল ১০৫ রানে। নটরাজনের বলে মারতে গিয়ে ফিরলেন হার্ড হিটার আন্দ্রে রাসেল (১১ বলে মাত্র ৯)। এরপর পঞ্চম উইকেটে মরগান-কার্তিক মিলে ৩০ বলে যোগ করলেন ৫৮ রান। ফলে, পাঁচ উইকেটে ১৬৩ রানে থামল কলকাতা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীরে ধীরে গতি বাড়াচ্ছিল কলকাতা। প্রথম ৩ ওভারে উঠেছিল মাত্র ১৫। সেটাই পাওয়ারপ্লে-র ৬ ওভারে দাঁড়িয়েছিল ৪৮। ৯ ওভারের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে উঠেছিল ৬৪। কিন্তু, তার পর শুভমান-রানা ফেরায় মিডল অর্ডারে সমস্যা বাড়ল। রাসেলও রান পেলেন না।
এদিন দ্বিতীয় ওভারেই জীবন পেয়েছিলেন শুভমান গিল। নটরাজনের বলে ডিপ স্কোয়ারে তাঁর ক্যাচ ফেলেছিলেন রশিদ খান। শুভমানের রান তখন মাত্র ১। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। রানের গতি বাড়াতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় সেই রশিদকেই মারতে গিয়ে দিলেন উইকেট।
আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করেছিলেন তিনে নামা নীতিশ রানা। কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ থাকলেন না। চারে নামলেও রান পেলেন না রাসেল। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক অইন মরগান ও প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের উপর দায়িত্ব পড়েছিল দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেয়ার। সেই দায়িত্বটা ভালোভাবেই পালন করেন দুজন। মরগান ২৩ বলে ৩৪ করে ফিরলেন ইনিংসের শেষ বলে। বাসিল থাম্পির বলে ক্যাচ দিলেন তিনি। আর কার্তিক অপরাজিত থাকলেন ১৪ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে।
কলকাতা দলে এদিন দুটো বদল ঘটেছে। একাদশে ফিরেছেন কুলদীপ যাদব ও লকি ফার্গুসন। বাদ পড়েছেন ক্রিস গ্রিন ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। হায়দরাবাদেও ঘটেছে দুই পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন খলিল আহমেদ ও শাহবাজ নাদিম। দলে এসেছেন বাসিল থাম্পি ও আব্দুল সামাদ।
৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্টে চার নম্বরে রয়েছে কলকাতা। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে রয়েছে হায়দরাবাদ। জিতলে প্লে-অফের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে নাইটরা।
এনএস/