ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শান্তর শতকে সর্বোচ্চ সংগ্রহ রাজশাহীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩১, ৮ ডিসেম্বর ২০২০

সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর শান্তর উদযাপন।

সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর শান্তর উদযাপন।

বাঁচামরার ম্যাচে শান্ত-ইমনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় রাজশাহী। টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শান্ত। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী পেয়েছে ২২০ রান। বিপরীতে শেষ ওভারে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন বরিশালের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তবে বরিশালের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করে রাজশাহীর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আনিসুল ইসলাম ইমন দলের পক্ষে উড়ন্ত শুরু করেন। নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা ধীর শুরু করলেও থিতু হয়ে তিনিও দ্রুত রান তুলতে থাকেন। পাল্লা দিয়ে রান তোলায় পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৬৪ রান আস তোলেন দুই ব্যাটসম্যান।

রাজশাহীর দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই অর্ধশতক হাঁকান। মাত্র ২৫ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ইমন, যা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দ্রুততম অর্ধশতক। অপরপ্রান্তে শান্ত অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৩২ বলে। দুইজনের বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে রাজশাহী। ১০ ওভারেই দলীয় শতক পূর্ণ করেন তারা।

১৩১ রানে তাদের রেকর্ড জুটি ভাঙেন সুমন খান। মাত্র ৩৯ বলে ৬৯ রান করে বিদায় নেন ইমন। আফিফের এক দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যেতে হয় তাকে। ইমনের এই টর্নেডো ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়। 

ইমন ফিরলেও রাজশাহীর রান তোলার গতি মোটেও কমেনি। রনি তালুকদারকে নিয়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক শান্ত। ব্যক্তিগত ১৭ রানে (১১ বল) জীবন পান রনি। তবে পরের ওভারেই বোলার সুমনের এক উড়ন্ত ফিরতি ক্যাচে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। ঠিক পরের বলেই শেখ মেহেদী হাসানকে রান আউট করেন বোলার সুমন। রনি ১২ বলে ১৮ ও মেহেদী ১ বলে ০ রানে ফিরে যান।

একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। ৫২ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তিনি। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টিতে একাধিক সেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি। শান্তর দুইটা সেঞ্চুরিই এসেছে চলতি বছরেই। প্রথমটি এই বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খুলনার পক্ষে করেছিলেন।

৫৫ বলে ১০৯ রানের তাণ্ডুবে ইনিংস খেলে বিদায় নেন শান্ত। তার ইনিংসে ছিল ১১টি ছক্কা ও ৪টি চার। রাজশাহী অধিনায়কের এই দুর্দান্ত ইনিংসের সমাপ্তি হয় রাব্বির বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

তার আগের বলে সাইফ হাসানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। পরের বলেও উইকেট পান রাব্বি। ফরহাদ রেজাও সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে রাব্বির হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয়। এক বল বাদেই আবার সাইফের হাতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। শেষ ওভারে মোট ৪টি উইকেট পান রাব্বি। তবে খরচ করেন মাত্র ১০ রান।

যাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজশাহী পেয়েছে ২২০ রানের সংগ্রহ। যা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। রাজশাহীর এই ইনিংসে এসেছে মোট ১৮টি ছক্কা। এই ম্যাচ জিততে হলে রেকর্ড গড়ে জিততে হবে বরিশালকে। হারলে টুর্নামেন্ট থেকেও পা পিছলে যাবে তাদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২২০/৭ (২০ ওভার)
শান্ত ১০৯, ইমন ৬৯; রাব্বি ৪/৪৩, সুমন ২/৪৩।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি