ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ব্যালন ডি’অরে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী কে এই জর্জিনহো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৯, ১৫ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৫:১১, ১৫ জুলাই ২০২১

মেসি ও জর্জিনহো

মেসি ও জর্জিনহো

চলতি মৌসুমে ইতালির হয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জয়ের পাশাপাশি চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও জিতেছেন জর্জিনহো। আর এর মধ্যদিয়েই এক চূড়ান্ত সফল মৌসুমের পরিসমাপ্তি ঘটেছে ব্রাজিলীয় বংশোদ্ভূত ইতালিয়ান তারকার। 

চেলসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়যাত্রার পাশাপাশি এফএ কাপ ফাইনালে পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও মাঝমাঠে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছেন ২৯ বছরের এই মিডফিল্ডার। এরপরেই তাঁর ব্যালন ডি’অর জেতার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে চেলসি সমর্থকদের একাংশ।

দক্ষতার দিক থেকে মেসি-রোনালদোর সমতুল্য না হলেও সেরা ফুটবলার হওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন জর্জিনহো নিজেও। ওয়েম্বলিতে ঐতিহাসিক খেতাব জয়ের পর পর্তুগিজ চ্যানেল স্পোর্ট টিভি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা স্পষ্ট করে দেন তিনি।

জর্জিনহো বলেন, ‘আমাদের সবারই কিছু স্বপ্ন থাকে। তবে সত্যি বলতে- কীসের ওপর ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। দক্ষতার দিক থেকে বিচার করতে গেলে আমি জানি, আমি সেরাদের তালিকায় আসব না। তবে যদি খেতাবের দিক থেকে বিচার করা হয়, তাহলে এই মৌসুমে আমার থেকে বেশি কেউ সাফল্য পায়নি।’

ব্রাজিলে জন্ম নেয়া এই ফুটবলার আরও বলেন, ‘মেসি, নেইমার বা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তো আমি তুলনায় যেতে পারি না। ওদের খেলার ধরনটাই ভিন্ন, আলাদা বৈশিষ্ট্য। তবে আবারও আমি বলব, সবটাই নির্ভর করছে কীসের ভিত্তিতে পুরস্কার প্রদান করা হবে তার ওপর।’

সঠিকভাবে ভাবনা-চিন্তা করলে, জর্জিনহো যে অবিলম্বে এই মৌসুমে ফ্রান্স ফুটবলের দেয়া সেরা ফুটবলারের এই পুরস্কার জয়ের মজবুত দাবিদার, সেই বিষয়েও কোনও সন্দেহ নেই। করোনার কারণে অবশ্য গত বছর এই পুরস্কার বিতরণ বাতিল করা হয়। 

তবে গতবারের সবচেয়ে বড় দাবিদার রবার্ট লেওয়ানডোস্কি এবারেও তাঁর নজির সৃষ্টিকারী মৌসুমের জন্য দৌড়ে সামিল। পাশাপাশি কোপা আমেরিকা জিতে পুরস্কারের দাবি জোরালো করেছেন লিওনেল মেসিও। তাই জর্জিনহোর পক্ষে এবারের ব্যালন ডি'অর পাওয়াটা খুব একটা সহজ হবে না।

সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। চার গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও পাঁচটি। বার্সেলোনার হয়ে স্প্যানিশ লা লিগাতেও গত মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন। তাই আরও একবার ব্যালন ডি অর উঠতে যাচ্ছে এলএম টেনের হাতে, তাতে খুব একটা সন্দেহ নেই।

এদিকে, মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা জর্জিনহোর জন্ম মূলত ব্রাজিলে হলেও কৈশোরে চলে আসেন ইতালিতে। এরপর বয়সভিত্তিক স্তর পেরিয়ে আজ্জুরিদের হয়ে নিয়মিত খেলছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে। দুই দলের একটিকে বেছে নেয়া কতটা কঠিন ছিল? ২৯ বছর বয়সী এই তারকা জানিয়েছেন, সঙ্গত কারণে সিদ্ধান্তটি নিতে দোটানায় পড়েননি তিনি।

জর্জিনহো বলেন, ‘আমি দ্বিতীয়বার ভাবিনি। অনূর্ধ্ব-২১ দলের প্রতিনিধিত্ব করার পর আমি ইতালির হয়ে কেবল কিছু প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলাম। তারপর ২০১৭ সালের নভেম্বরে আমাকে সুইডেনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের জন্য ডাকা হয়েছিল।’

‘তখন ব্রাজিলও আমাকে চেয়েছিল। শৈশব থেকে ব্রাজিলের হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল, ইতালির সাহায্য দরকার। আর আমারও যখন সাহায্যের দরকার ছিল, তখন তারা দুয়ার খুলে আমাকে জড়িয়ে নিয়েছিল।’

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি