ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪

ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ১০ নভেম্বর ২০২১

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট ফের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বকাপ মঞ্চের নক-আউট পর্বে।

বুধবার আবুধাবিতে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।

এই ফরম্যাটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ ম্যাচে জিতে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। ৭টিতে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। আজকের ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ ঘিরে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। এবার এই দুলের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গাগুলো সম্পর্কে জানা যাক- 

ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং

ওপেনার জস বাটলার আছেন দারুণ ফর্মে। টুর্নামেন্টের একমাত্র সেঞ্চুরিটি তার। তবে সুপার টুয়েলভ পর্বের শেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লেগে ইনজুরিতে অপর ওপেনার জেসন রয়। কিন্তু জনি বেয়ারস্টোর মতো ব্যাটসম্যান আছেন রয়ের জায়গায় ব্যাট করতে নামার। 

এরপর আছেন টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের ১ নম্বর ব্যাটসম্যান দাউয়িদ মালান। দারুণ ছন্দে বল পেটাচ্ছেন মইন আলী, মরগানও ফর্মে ফিরছেন।

তাই ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার যেকোনও দলের জন্য কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এমনকি লোয়ার অর্ডারেও রান তোলার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী ব্যাটসম্যান আছেন ক্রিস জর্ডান, ক্রিস ওকসরা। এরা সহজেই বল সীমানা পার করতে পারেন।

নিউজিল্যান্ডের শক্তির জায়গা বোলিং
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সাথে নিউজিল্যান্ডের বোলিং লড়াইটাই এই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা জুটি পেস বোলার টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টকে নিয়ে ক্ষুরধার বোলিং লাইনআপ সাজাবে নিউজিল্যান্ড তাতে কোন সন্দেহ নেই।

স্পিনে আছেন মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি। এই দুজন ভারতে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামিয়েছিলেন। এছাড়া জিমি নিশাম ডেথ ওভারে দারুণ কার্যকরী। ব্যাট হাতেও তিনি ম্যাচ জেতাতে পারেন, দারুণ সব ক্যাচও ধরেন নিশাম।

আবুধাবিতে রাতের খেলায় শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর। এক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে নিউজিল্যান্ড। কেননা তারা শেষ তিনটি ম্যাচ দিনের বেলাই খেলেছে।

ইংল্যান্ড দুর্বল বোলিংয়ে
সুপার টুয়েলভ পর্বের একটি ম্যাচ বাদে ইংল্যান্ড বোলিংয়ে খুব একটা কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েনি। অর্থাৎ কোনও দলই তাদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেনি। আবার এমন ব্যাটিংও করেনি যাতে ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপদ সামাল দিতে হয়।

আদিল রশিদ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন। তবে দল যখন সংকটে ভোগে তখন লিয়াম লিভিংস্টোন পার্ট টাইম স্পিন করে সেটা পুষিয়ে দিচ্ছেন।

মরগান এই দলটাকে খুব ভালো বোঝেন এবং প্রতিটা ক্রিকেটারের শক্তির জায়গা ও দুর্বলতার জায়গা জানেন। যে কারণে দলের মূল বোলাররা না থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড খুব বেশি ভোগেনি।

কিইউদের ব্যাটিংলাইন পরীক্ষিত নয়
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা বাদে ব্যাটিং নিয়ে নিউজিল্যান্ড এখনও কঠিন কোন পরিস্থিতিতে পড়েনি। নামিবিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মোটামুটি ব্যাটিং করেছে। ভারতের বিপক্ষে ১১০ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২৪ রান তাড়া করতে তাদের তেমন কোনও বিপাকে পড়তে হয়নি।

গাপটিল ফর্মে আছেন, কেইন উইলিয়ামসন ইনিংস টেনে যাচ্ছেন, কনওয়েও মাঝেমধ্যে সঙ্গ দিয়েছেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে ধরনের ব্যাটিং থাকা উচিত সেটা এখনও নিউজিল্যান্ড দেখাতে পারেনি।

মূলত দলটি বোলিং দিয়েই এই দুর্বলতা পূর্ণ করে আসছে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি