ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বদলা নিয়ে ফাইনালে যেতে কিউয়িদের লক্ষ্য ১৬৭

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫২, ১০ নভেম্বর ২০২১

মঈন আলীর ফিফটিতেই দেড়শ ছাড়ানো স্কোর পায় ইংল্যান্ড

মঈন আলীর ফিফটিতেই দেড়শ ছাড়ানো স্কোর পায় ইংল্যান্ড

১৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান জমা করা ইংল্যান্ড শেষ পাঁচ ওভারে আরও দুটি উইকেট হারিয়েই তুলে নেয় ৬৬টি মূল্যবান রান। অর্থাৎ নির্ধারিত ওভারে মাত্র ৩টি উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের স্কোর গড়ে মরগ্যানের দল। যার ফলে ফাইনালে যেতে নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬৭ রান।  

এর আগে আবুধাবিতে বুধবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ফলে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া মারকুটে ওপেনার জেসন রয়ের পরিবর্তে প্রত্যাশা মতোই বাটলারের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন জনি বেয়ারস্টো।

যদিও সফল হননি এবারের আসরে প্রথমবার ওপেন করতে নামা বেয়ারস্টো। শুরুটা ভালো করলেও মিলনের আঘাতে মাত্র ১৩ রান করে ফেরেন এই ওপেনার, ১৭টি বল খেলে। এরপর টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটারের সঙ্গে মাত্র ১৬টি রান যোগ করে ফেরেন চলতি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ব্যাটার জস বাটলার। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৯ রান। 

যাতে দলীয় ৫৩ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। তবে ডেভিড মালান ও মঈন আলীর ঝোড়ো ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত ১৬৬ রানের স্কোর পায় ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন মঈনই। ৩৬ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন ৫১ রানে। 

তাঁর ৩৭ বলের এই ইনিংসে ছিল তিনটি চারের সঙ্গে দুটি বিশাল ছক্কার মার। সঙ্গী ইয়ন মরগ্যান অপরাজিত থাকেন দুই বলে চার রান করে। এর আগে ৩০ বল খেলা মালান আউট হন চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলে। মাঝে ১০ বল খেলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৭ রান করে নিশামের শিকার হন লিভিংস্টোন।

কিউয়িদের পক্ষে একটি করে উইকেট লাভ করেন টিম সাউদি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি ও জেমস নিশাম। 

২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। ৫০ ওভারেই সেই ম্যাচটি টাই হয়। সুপার ওভারেও টাই হয়। পরে ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি মারার জন্য ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে আইসিসি। এবার আরেকটি বিশ্বকাপের মঞ্চেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেই হতাশার বদলা নেয়ার সুযোগ কিউয়িদের সামনে।

এক নজরে দুই দলের একাদশ
ইংল্যান্ড: জস বাটলার (উইকেটরক্ষক), জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, ইয়ন মরগ্যান (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলী, স্যাম বিলিংস, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, মার্ক উড।

নিউজিল্যান্ড: মার্টিন গাপ্টিল, ড্যারিল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ডেভন কনওয়ে (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, জেমস নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি, ইশ সোধি, ট্রেন্ট বোল্ট।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি