ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

এবার গাভাস্কার-শচীনকেও টপকে গেলেন রুট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৪, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

জো রুট

জো রুট

চলতি মৌসুমে টেস্ট অঙ্গনে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন জো রুট। ব্যাট হাতে একের পর এক নজির গড়ে চলেছেন ইংলিশ টেস্ট দলের অধিনায়ক। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের কিংবদন্তি দুই ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার এবং শচীন টেন্ডুলকারকেও ছাপিয়ে গেলেন রুট। শনিবার অ্যাডিলেডে পিঙ্ক বলের টেস্টের তৃতীয় দিনে এই নজির গড়ে ফেলেন টেস্ট ব্যাটার নাম্বার ওয়ান।

এর আগে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মধ্যে টেস্টে এক বর্ষপঞ্জিতে সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়ে ফেলেন জো রুট। ২০০২ সালে মাইকেল ভনের করা ১,৪৮১ রানের রেকর্ডটি আগেই টপকে গিয়েছিলেন। আর অ্যাডিলেডে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করার মধ্যদিয়ে ১৯৭৯ সালে সুনীল গাভাস্কারের করা ১,৫৫৫ রানের রেকর্ডটিও টপকে গেলেন শনিবার। পাশাপাশি ছাপিয়ে যান শচীন টেন্ডুলকারকেও। ২০১০ সালে ১,৫৬২ রান করেছিলেন মাষ্টার ব্লাস্টার। এদিন সেই রেকর্ডও টপকে গেলেন জো রুট।

গাভাস্কার এবং শচীনকে টপকে যাওয়ার পর বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে এক বর্ষপঞ্জিতে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এলেন জো রুট। এদিন অজিদের বিপক্ষে ৬২ রানে আউট হন রুট। আর এরইসঙ্গে এ বছর ১২ টেস্টে ছয়টি শতকে ৬৬.১৩ গড়ে ১,৬০০ রান সংগ্রহ করেন রুট।

ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক এই বছরেই ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষেই চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর একটি ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে। এছাড়াও চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন রুট।

এদিকে, এক বর্ষপঞ্জিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ। ২০০৬ সালে ১১ ম্যাচ খেলে ১,৭৮৮ রান করেছিলেন পাকিস্তানি এই ব্যাটার। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ভিভ রিচার্ডস। ১৯৭৬ সালে ১১ টেস্টে ১,৭১০ রান করেছিলেন ক্যারিবীয় এই গ্রেট। 

ভিভ এবং ইউসুফকে কি এই বছরে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন জো রুট? চলতি অ্যাশেজ সিরিজে এখনও ৭টি ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পাবেন ইংলিশ এই ব্যাটার। সুস্থ থেকে ওই ইনিংসগুলো খেলতে পারলে মাত্র ১৮৯টি রান করতে না পারার কোনও কারণ দেখছেন না ক্রিকেট বোদ্ধারা। তবে রুট সেটা পারেন কিনা- সেটাই এখন দেখার বিষয়!

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি