সমানে সমান ব্রাজিল-ইকুয়েডর, দুই দলে দুই লাল কার্ড
প্রকাশিত : ১০:০৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২২
দুই দলে দুই লাল কার্ড। সেই সঙ্গে ফাউলের বন্যা। শেষে পর্যন্ত ম্যাচ ড্র। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের লড়াইয়ে ব্রাজিলকে রুখে দিল ইকুয়েডর। ফলে ১-১ গোলে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর রাতে একুয়েডরের রাজধানী কিটোয় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে না হারার ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করল ব্রাজিল। ১৯৫৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সময়ে নিজেরাই রেকর্ডটি গড়েছিল পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা। অন্যদিকে এই প্রতিযোগিতায় টানা দুই জয়ের পর এবার লড়াকু ফুটবলে ড্র করল একুয়েডর। এতে কাতার বিশ্বকাপে ওঠার স্বপ্ন পূরণের পথেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেল দলটি। ব্রাজিল অবশ্য আগেই চূড়ান্ত পর্বে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলেছে।
৩২ ফাউলের লড়াইটিতে কাসেমিরোর গোলে সফরকারীরা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন ফেলিক্স তরেস।
ম্যাচের ফলে ভিএআরের ভূমিকা হয়ে উঠেছে অনেক বড়। দুই লাল কার্ড এসেছে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে। ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন দুবার বহিষ্কার হলেও ভিএআরে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। একুয়েডরের পক্ষে দুটি পেনাল্টির সিদ্ধান্তও একইভাবে উল্টে যায়। সব মিলিয়ে ম্যাচটি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হওয়ার উপলক্ষ আছে ঢের।
ব্রাজিল এগিয়ে যায় ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে। ফিলিপে কৌতিনিয়োর কর্নার একুয়েডরের রক্ষণভাগ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল আবারও চলে যায় এই মিডফিল্ডারের পায়ে। বাইলাইন থেকে দূরের পোস্ট উঁচু করে বাড়ান তিনি। মাথেউস কুইয়ার হেড গোলমুখে ডিফেন্ডার পিয়েরো ইনকাপিয়ের গায়ে লেগে বল পড়ে ঠিক গোললাইনের সামনে। কোনোমতে এক টোকায় বাকি কাজ সারেন কাসেমিরো।
দ্বিতীয় ভাগের শুরু থেকে তুলনামূলক পরিকল্পিত ফুটবল খেলে দলটি। ৭৫তম মিনিটে পায় সাফল্যের দেখা। গনসালা প্লাতার কর্নারে হেডে গোলটি করেন ফেলিক্স তরেস। পুরো ম্যাচে গোলের উদ্দেশ্যে দলটির ১০ প্রচেষ্টার এই একটিই লক্ষ্যে ছিল। আর ব্রাজিলের ১২ শটের ৬টি ছিল লক্ষ্যে।
এসএ/