ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নারিনকে আগ্রাসী ব্যাটিং করতেই পাঠিয়েছিলাম: ইমরুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ফিফটির পর নারিনের উদযাপন

ফিফটির পর নারিনের উদযাপন

অবদানটা বল হাতে বেশি রাখলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সুনীল নারিনের খ্যাতি অলরাউন্ডার হিসেবেই। যদিও চলতি বিপিএলে ব্যাট হাতে সময়টা তেমন ভালো কাটছিল না তাঁর। তবে ব্যাট হাতে এমন দিনে জ্বলে উঠলেন, যা নিশ্চিত করল দলের ফাইনাল।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে অষ্টম আসরের ফাইনালে তোলার দিনে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন নারিন। বুধবার রাতের এ ম্যাচে মাহমুদুল হাসান জয় বা ফ্যাফ ডু প্লেসিসের বদলে নারিনকে ওপেনার হিসেবে বেছে নিয়েছিল কুমিল্লা। নারিনও দলকে এমন এক উড়ন্ত সূচনা এনে দেন যে, কুমিল্লা ম্যাচ জিতে নেয় ৪৯ বল হাতে রেখেই।

ম্যাচ শেষে কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস জানান, এমন আগ্রাসী সূচনার জন্যই নারিনকে পাঠিয়েছিলেন ওপেনিংয়ে। তিনি বলেন, ‘আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্যই ওকে ওপেনে পাঠিয়েছিলাম। এটা আমাদের পরিকল্পনাই ছিল। সে শুরুতেই বিধ্বংসী হয়ে উঠলে যে কোনও প্রতিপক্ষের সমস্যা সৃষ্টি হবে। সে ঠিক এই কাজটাই করেছে।’

নারিন যে স্লগ ওভারের চেয়ে শুরুতেই বেশি কার্যকর, তা বুঝতে বোধহয় সময়টা একটু বেশিই লেগেছে কুমিল্লার। দলের ভালোর কথা ভেবেই ব্যাটিং অর্ডারে ‘প্রমোশন’ দেয়া হয় নারিনকে। 

ইমরুলের ভাষায়, ‘ওকে আমরা আগে ছয়ে ব্যাটিং করাচ্ছিলাম। এখানে ওরও তেমন কিছু করার ছিল না। ও তো আগ্রাসী খেলোয়াড়। ৬ নম্বরে কিছু করার থাকে না। আমাদের মনে হয়েছে, ও যদি ওপরে ব্যাটিং করে, ২-৩ ওভার বল ব্যাটে লাগে, আমাদের দলের জন্য ভালো কিছু হবে। সে সেটাই করেছে।’

ক্রিজে থাকা এই ক্যারিবীয় ব্যাট্যার যখন চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন, তখন অপর প্রান্তে ছিলেন ইমরুল নিজেই। প্রথম বলে লিটন দাসকে হারানোর পর ক্রিজে আসা ইমরুলের ২২ রানের ইনিংসও ভূমিকা রেখেছে দলের জয়ে।

ইমরুল বলেন, ‘ও যখন ব্যাট চালাচ্ছিল, আমিও চেষ্টা করছিলাম পাওয়ারপ্লে যতটা কাজে লাগানো যায়। ওর ব্যাটিংয়ে কাজ সহজ হয়ে গেছে, যার কারণে খুব সহজে ম্যাচটা জিতে গেছি।’

ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট কর তে নেমে ১৯.১ ওভারেই অলআউট হওয়ার আগে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৮ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে। ৩৮ বলের মোকাবেলায় তিনি হাঁকান তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। 

এছাড়া দুটি করে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ২০ বলে ৩৩ রান করেন আকবর আলী। কুমিল্লার পক্ষে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন মঈন আলী ও শহিদুল ইসলাম।

জবাব দিতে নেমে প্রথম বলেই লিটন দাসকে হারায় কুমিল্লা। তবে অপরপ্রান্তে তাণ্ডব শুরু করেন আরেক ওপেনার সুনীল নারিন। মাত্র ১৩ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে গড়েন বিপিএলের দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড। পাওয়ার প্লে-তেই সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ১৬ বলে করেন ৫৭ রান, হাঁকান পাঁচটি চার ও ছয়টি ছক্কা।

বিপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লে-তে কোনো ব্যাটারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটি। নারিনের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে-তে কুমিল্লা জড়ো করে ৮৪ রান, যা বিপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লে-তে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।

নারিনের বিদায়ের পর বিদায় নেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও (২৪ বলে ২২ রান)। তবে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন দুই বিদেশি তারকা ফ্যাফ ডু প্লেসিস ও মঈন আলী।

মারকুটে ব্যাটিং অব্যাহত রেখে দুজনে মিলে দলের জয় নিশ্চিত করেন ৪৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই। যা ১৪০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়ায় বিপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম জয়ের (ওভারের দিক থেকে) কীর্তি। 

মঈন ১৩ বলে তিন ছক্কা ও দুই চারে ৩০ এবং ডু প্লেসিস ২৩ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। চট্টগ্রামের পক্ষে হাওয়েল ও শরিফুল একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি