ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

এক ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি, ইংলিশ রানবন্যায় ভাসছে ডাচরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৯, ১৭ জুন ২০২২

মাত্র ৭০ বলে ১৬২ রানের টর্ণেডো ইনিংস খেলার পথে জস বাটলার

মাত্র ৭০ বলে ১৬২ রানের টর্ণেডো ইনিংস খেলার পথে জস বাটলার

একইসঙ্গে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং নেদারল্যান্ডসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ইতোমধ্যে ২-০তে এগিয়ে তৃতীয় টেস্টে নামার জন্য প্রস্তুত স্টোকস বাহিনী। তার আগে নেদারল্যান্ডসের আমস্টেলভিনে রীতিমত রান বন্যা বইয়ে দিচ্ছে মরগ্যানের দল।

শুক্রবার (১৭ জুন) অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতেই ঘটে গেল অপ্রত্যাশিত এক মজার ঘটনা। যা স্মৃতিকাতর করবে অনেককেই।

ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। দলটির ব্যাটার ডেভিড মালান ইনিংসের অষ্টম ওভারে ডাচ স্পিনারকে লং অফে বিশাল এক ছয় হাঁকান। বলটি উড়ে গিয়ে মাঠের পাশে ঝোপে পড়ে।

বলটি খুঁজতে মাঠের গ্রাউন্ডসম্যানরা সেখানে উপস্থিত হন। কিছু সময় ধরে খুঁজলেও বলটি পাচ্ছিলেন না তারা। এক পর্যায়ে বল খুঁজে নিয়ে আসার জন্য ঝোপের মধ্যে ঢুকে যান ডাচ ফিল্ডার টম কুপার ও লগান ভ্যান বিক। সবাই মিলে খোঁজার এক পর্যায়ে বলটি উদ্ধার হয়।

মাঠে উপস্থিত এক ক্রীড়া প্রতিবেদক হেনরি মোয়েরান পুরো ঘটনাটির একটি ভিডিও নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায়, বল খুঁজে পেয়ে সবাই আনন্দে চিৎকার করছেন।

সচরাচর আমাদের গলি ক্রিকেটে বা মফস্বলে এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটতে দেখা যায়। যেখানেও এভাবে বল খুঁজে পাওয়ার পর আনন্দ করতে দেখা যায় সবাইকে। এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সেই গলি ক্রিকেটের স্মৃতিকাতর এক দৃশ্যই দেখা গেল বৈকি!

এদিকে, এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ম্যাচটিতে রীতিমত রান বন্যা বইয়ে দিচ্ছে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল। ইতোমধ্যেই শতক হাঁকিয়েছেন দলটির তিন টপ অর্ডার ব্যাটার ফিল সল্ট, ডেভিড মালান ও জস বাটলার। যা ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম ঘটনা।

আর এই ইতিহাস গড়ার দিনে পুঁচকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তাণ্ডব ছড়াচ্ছেন জস বাটলার। তার ও লিভিংস্টোনের টর্ণেডো গতির ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪৯৮ রানের বিশাল স্কোরের রেকর্ড গড়েছে ইংল্যাড। 

মাত্র ১৭ বলে ফিফটি হাঁকানো লিভিংস্টোন অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রানে। তার ২২ বলের এই টর্ণেডো গতির ইনিংসে ছিল সমান ছয়টি করে চার ও ছক্কার মার। আর দানবীয় ইনিংস খেলা বাটলার অপরাজিত ছিলেন মাত্র ৭০ বলে ১৬২ রান করে। তার এই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ছিল ১৪টি বিশাল বিশাল ছক্কার বিপরীতে ৭টি চারের মার।

সেইসঙ্গে পঞ্চম উইকেটে এ দুজনে গড়েন মাত্র ৩২ বলে ৯১ রানের অবিশ্বাস্য জুটি। এর আগে সেঞ্চুরিসহ নিজ নিজ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে আউট হন ফিল সল্ট ও ডেভিড মালান। ৯৩ বল খেলা সল্টের ব্যাট থেকে ১২২ রান আর ১০৯ বল খেলা মালানের ব্যাট থেকে আসে ১২৫ রান। 

অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের। টস জিতে বোলিং নিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই জেসন রয়কে (১) ফিরিয়ে শুভ সূচনার ইঙ্গিত দেন ডাচ বোলার লোগান ভ্যান বিক। তবে তাদের সেই উদযাপনকে মুহূর্তেই পানসে করে দেন সল্ট ও মালান। 

দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজনে গড়েন ১৭০ বলে ২২২ রানের অনবদ্য এক জুটি। এরপর তৃতীয় উইকেটে বাটলার ও মালান মিলে গড়েন মাত্র ৯০ বলে ১৮৪ রানের জুটি। যে ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে তিন সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ৫শ ছোঁয়া এই বিশাল স্কোর দাঁড় করাতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। 

তবে এর মাঝেও ওপেনার রয়ের মত ব্যর্থতার পরিচয় দেন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। শূন্য রানেই প্রতিপক্ষ কাপ্তান পিটার সিলারের লেগ বিফোরের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন এই বাঁহাতি। ইংলিশ অধিনায়ককে শিকারের পাশাপাশি ম্যাচের সফল বোলারও ছিলেন সিলার। ৮৩ রানে ২টি উইকেট নেন ডাচ ক্যাপ্টেন।

এছাড়া লোগান ৮২ রান দিয়ে ও স্নাটার ৯৯ রান দিয়ে একটি করে উইকেট লাভ করেন। রান বন্যার এই ম্যাচে অন্যদের কথা নাইবা লিখলাম।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি