ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বার্লের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর জিম্বাবুয়ের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৪৭, ২ আগস্ট ২০২২

মাত্র ২৮ বলে ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলার পথে রায়ান বার্ল

মাত্র ২৮ বলে ৫৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলার পথে রায়ান বার্ল

শুরুটা ভালো করলেও টাইগার চার স্পিনার নাসুম-মাহেদী-সৈকত-রিয়াদের ঘূর্ণিতে ১০ম ওভারেই পাঁচ টপ অর্ডারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে স্বাগতিকরা। তবে বার্ল ও জংওয়ের তান্ডুবে ইনিংসে চড়ে শেষ পর্যন্ত চ্যালঞ্জিং স্কোরই গড়তে পারে জিম্বাবুয়ে।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রায়ান বার্ল। ৭ নাম্বারে নামা এই ব্যাটারের ২৮ বলের এই বিস্ফোরক ইনিংসে ছিল ছয়টি ছক্কার সঙ্গে ২টি চারের মার। 

আর জংওয়ের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। তার ২০ বলের এই ক্যামিও ইনিংসে ছিল দুইটি ছয়ের সঙ্গে চারটি চারের মার।

মূলত এই দুজনের মাত্র ৩১ বলে গড়া ৭৯ রানের তান্ডুবে জুটিতেই ওই চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে। কেননা, এই দুজন ছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে অধিনায়ক এরভিনের ব্যাট থেকে।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১০ ওভারের মধ্যেই পাঁচ টপ অর্ডারকে হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। ওপেনিংয়ে নেমে ২৪ রান করে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে অধিনায়ক এরভিন আউট হলেও তার আগে একে একে সাজঘরে ফেরেন রেগিস চাকাভা (১৭), ওয়েসলি মাধেভেরে (৫), সিরিজের টপ স্কোরার সিকান্দার রাজা (০) ও শিন উইলিয়ামস (২)। ফলে ৫৫ রানেই ইনিংসের অর্ধেকটা খুইয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।

টাইগার চার স্পিনারের মধ্যে মাহেদী হাসান ২টি এবং নাসুম-সৈকত-রিয়াদ নিয়েছেন ১টি করে।

এরপর মুস্তাফিজ এসে কিপার বিজয়ের দুর্দান্ত ক্যাচের সৌজন্যে আরও একটি উইকেট তুলে নিলে ৬৭ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে জিম্বাবুয়ের।

এ অবস্থায় লুক জংওয়েকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন রায়ান বার্ল। শুরুটা করেন জংওয়েই। ১৪তম ওভার করা হাসান মাহমুদের প্রথম তিন বলে দুই বাউন্ডাড়িতে ৯ রান নিয়ে পাল্টা আক্রমণের ইঙ্গিত দেন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু পরের ওভারে নাসুমকে পেয়ে বার্ল যা করেন, তা রীতিমত চোখ ধাঁধানো।

পরপর চারটি বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড বুকে নাম লেখানোর ইঙ্গিত দেন জিম্বাবুয়ের এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে সেটা না হলেও যা হয়েছে তাও বা কম কিসে। পঞ্চম বলে চার পেলেও ষষ্ঠ বলে আবারো ছক্কা হাঁকান রায়ান বার্ল। ফলে ওই ওভারের চিত্রটা দাঁড়ায় এমন- ৬,৬,৬,৬,৪ ও ৬। 

অর্থাৎ মোট ৩৪টি রান আদায় করে নেন নাসুমের ওই ওভার থেকে। যাতে ১৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৬ থেকে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৪ ওভার শেষে এক ধাক্কায় ১১০-এ গিয়ে ঠেকে। মাত্র ২৪ বলে ফিফটি হাঁকান রায়ান বার্ল।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য বার্ল-জংওয়ে দুজনেই তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের শিকার হন। ফলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচে এসে ২৮ রানে ২ উইকেট পেলেন এই পেসার। একই বোলিং ফিগার বজায় রাখেন স্পিনার মাহেদী হাসানও। 

এদিন অবশ্য বল হাতে নেয়া সবাই উইকেট পেলেও ২ ওভারে ৪০ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নাসুম আহমেদ।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি