ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

এবার নির্বাচকদের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রকিবুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১২, ৪ আগস্ট ২০২২ | আপডেট: ১৫:১৯, ৪ আগস্ট ২০২২

রকিবুল হাসান

রকিবুল হাসান

যে পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েতে গিয়েছিল, সেই পরিকল্পনায় টিম ম্যানেজমেন্ট স্থির থাকতে পারেনি। অর্থাৎ শুধু ক্রিকেটারদের নয়, টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তেরও কোনো ধারাবাহিকতা নেই বলেই মন্তব্য করেছেন সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান। সেইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও।

এছাড়াও পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য ক্রিকেটারদের স্কিল বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।

একটা সিরিজ যায় আরেকটা আসে, কিন্তু পরিবর্তন আসে না মাঠের খেলায়। শেষ হয় না নির্বাচক আর টিম ম্যানেজমেন্টের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। সবশেষ চার টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেন তিন ক্রিকেটার।

রিয়াদ-মুশফিকদের বিশ্রামের কথা বলে টি-টোয়েন্টি দলে রাখা হলো না। কিন্তু আবার সেই রিয়াদকেই ডেকে নেয়া হলো শেষ টি-টোয়েন্টিতে! ফলাফল সেই শূন্য। 

মাঠের পারফরম্যান্সের জন্য বরাবরই কাঠগড়ায় তোলা হয় ক্রিকেটারদের। তবে তাদেরকে যারা পরিচালনা করেন, তাদের নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান। পরামর্শ দিলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধারাবাহিক হওয়ার।

দেশের অন্যতম এই ক্রিকেট বিশ্লেষক বলেন, ‘আমাদের ম্যানেজমেন্টের একটা ঘাটতি আমার চোখে পড়ছে। আমরা শুধু বলি আমাদের বোলার, ব্যাটারদের ধারাবাহিকতা নিয়ে। আমাদের নীতিনির্ধারকদেরও তো ধারাবাহিকতা নেই। আমরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বিশ্রাম দেব বলে তাকে আবার দলে নিলাম। আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে এ ট্যুরে গিয়েছিলাম, সেটা তো ধরে রাখতে পারলাম না। আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভয়হীন। কেউ যদি চাপে থাকে, তাহলে তার নির্বাচকের জায়গায় থাকা উচিত নয়।’

শুধু টি-টোয়েন্টি নয়। যে কোনো ফরম্যাটে দল নির্বাচন প্রক্রিয়া বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে সুযোগ পেলেই গণমাধ্যমকে দোষ দেয়ার চেষ্টা করে বোর্ড। অথচ গণমাধ্যম ক্রিকেট উন্নয়নের অংশীজন। সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করিয়ে দিলেন, গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচকদের নিজেদের কাজটা করতে হবে প্রক্রিয়া মেনে।

রকিবুল বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যম বা সংবাদমাধ্যম কী বলছে, সে অনুযায়ী তো সিদ্ধান্ত নিলে হবে না। নির্বাচকরা যদি সাংবাদিকদের নিয়ে ভয় পায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাকে নিয়ে কথা বলছে, একজন নির্বাচক হিসেবে যদি এগুলোকে গুরুত্ব দিতে থাকি, তাহলে কখনও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। একজন নির্বাচক একজন বিচারক। তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রক্রিয়া মেনে।’

শেষে ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টির একটা নিজস্ব ব্যাকরণ আছে। সেটা বুঝতে হবে। বিশ্বকাপ সামনে। দুই মাস বাকি আছে। এ সময়ের মধ্যে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স টিম ও ‘এ’ দলের সঙ্গে খেলে নিজেদের তৈরি করতে হবে।’

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি