উত্তেজনা বাড়িয়ে প্রথম জয় টাইগারদের
প্রকাশিত : ১৩:৪১, ২৪ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫৬, ২৪ অক্টোবর ২০২২
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ডাচদের হারিয়ে জয়ের দেখা পেলো বাংলোদেশ। এর মধ্য দিয়ে অপেক্ষার অবসান ঘটলো টাইগারদের।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রথম জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর কেটে যায় ১৫ বছর। ছয়টি আসরে মূল পর্বে জয়ের দেখা পাচ্ছিল না টাইগাররা। অষ্টম আসরে এসে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাল টিম বাংলাদেশ। দাপুটে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশন শুরু করল সাকিব আল হাসানের দল।
সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। সোমবার হোবার্টে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসকে ১৩৫ রানে অলআউট করে সাকিব আল হাসানের দল।
ব্যাটিংয়ে পুঁজিটা খুব বেশি বড় হয়নি বাংলাদেশের। তাই বোলিংয়ে কিছু একটা করতেই হবে। পেসার তাসকিন আহমেদ ঠিক তেমনই এক সূচনা এনে প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডের জোড়া উইকেট।
এরপর নেদারল্যান্ডকে চাপে রেখে রান আটকে রাখলেও উইকেট নিতে পারছিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেই টানা দুই রানআউট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ।
আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রানআউট হন ম্যাক্স ও’ডাউড ও টম কুপার।
উইকেটে থিতু হতে থাকা প্রতিপক্ষের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে তুলে নেন সাকিব। টিম প্রিঙ্গেলকে বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। এরপর দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে আবারও জোড়া আঘাত হানে তাসকিন। শারিজ আহমেদের (৯) পর তুলে নেন অর্ধশতক করা কলিন অ্যাকারম্যান। সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় নেদারল্যান্ডস। তাসকিন আহমেদ ২৫ রানে ৪ উইকেট ও হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। সাত বলের ব্যবধানে আউট হয়ে যান সৌম্য (১৪) ও শান্ত (২৫)।
দুই ওপেনারের দেখানো পথে হাঁটেন লিটন দাস (৯)। এরপর আউট হয়ে দলের বিপদ আরও বাড়ান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৭)। ইয়াসির আলীও ধরেন সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সাকিব আল হাসানের দল।
উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। ব্যক্তিগত ১৩ রানে সোহান বিদায় নিলে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি। ২৭ বলে দুটি করে চার ও ছয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন আফিফ। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ১২ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নেদারল্যান্ডস ২০ ওভারে ১৩৫ (বাংলাদেশ ১৪৪/৮)
এসএ/