কুমিল্লাকে হারিয়ে রংপুরের বিপিএল শুরু
প্রকাশিত : ২৩:২২, ৬ জানুয়ারি ২০২৩
শুরুতে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন রনি তালুকদার। করলেন বাংলাদেশিদের মধ্যে বিপিএলের সবচেয়ে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। তাতেই রংপুর রাইডার্স পেল বড় সংগ্রহ। পরে বোলাররাও তাদের কাজটা করলেন ঠিকঠাক। যাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করেছে রংপুর রাইডার্স।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৪ রানে জয় পেয়েছে রংপুর।
শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সামনে ১৭৭ রানের লক্ষ্য দেয় সোহানের দল। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে থামে লিটন-কায়েসদের স্কোর।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে রংপুর রাইডার্স। প্রথম ম্যাচে একশ রানও তুলতে পারেনি শুরুতে ব্যাট করা দল। দ্বিতীয়টিতে পাওয়ার-প্লের ছয় ওভারেই ৬৪ রান তুলে ফেলে রংপুর, কোনো উইকেট না হারিয়ে। বিধ্বংসী শুরু এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার।
তাদের জুটি ভাঙে ৮৪ রানে এসে। খুশদিল শাহর বল সামনে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন রনি। এর আগেই ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন এই ব্যাটার। শেষ অবধি ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার উদ্বোধনী সঙ্গী নাঈম ৩৪ বলে ২৯ রান করে ফজলহক ফারুকীর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান।
দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি সিকান্দার রাজা। ১০ বলে ১২ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শোয়েব মালিক। কিন্তু তিনি সোহানের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান।
ফারুকীর ওভারে প্রথম রান নেওয়ার পর দ্বিতীয়টির জন্য দৌড়ান মালিক। কিন্তু নিজের ক্রিজ ছেড়ে বের হননি সোহান। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ১ চার ও ছক্কায় ২৬ বলে ৩৩ রান করা মালিককে। অধিনায়ক সোহান অপরাজিত থেকে ১১ বলে করেন ১৯ রান। রংপুর পায় ১৭৬ রানের সংগ্রহ।
জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে সৈকত আলিকে পাঠায়। ১২ বলে ১০ রান করে রাকিবুল হাসানের বলে লিটন ফিরলে তাদের ২৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ২১ বলে ১৬ রান করে ফেরেন সৈকত।
উইকেটে এসে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ডেভিড মালান। তাকেও রংপুর ফেরায় ভয়ঙ্কর হওয়ার আগেই। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৯ বলে ১৭ রান করেন মালান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ইমরুল কায়েস।
তাদের দুজনের জুটিতে আসে ৫৮ রান। ২৩ বলে ৩৫ রান করে ইমরুল কায়েসকে আজমাতুল্লাহ ওমারজাই ফেরালে জুটি ভেঙে যায়। এরপর আর বেশিদূর আগাতে পারেনি কুমিল্লা। ৯ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে।
রংপুরের পক্ষে ৩ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। দুটি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা ও রবিউল হক। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে রেকর্ড গড়া রনির হাতেই।
এনএস//