হৃদয়-রুবেলে উড়ে গেল খুলনা, প্লে-অফে সিলেট
প্রকাশিত : ২৩:০৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ২৩:১০, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩
গ্যালারিজুড়ে গোলাপী আভা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সি পরে হাজারো মানুষের উপস্থিতি, চিৎকার, সমর্থন। অবিশ্বাস্য এক আবহ। বিপিএলে এমনটা দেখা যায় না সচরাচর। স্বাগতিক সমর্থকদের অবশ্য হতাশ করেননি হৃদয়-রুবেলরা। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের প্রথমটিতে হারলেও ঢাকায় ফেরার আগে টানা দুই ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করল সিলেট।
শুরুতে তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসান জুটি বাধেন দলটির হয়ে। শেষদিকে ঝড় তোলেন রায়ান বার্ল ও থিসারা পেরেরা। বল হাতে বাকি কাজটুকু সারেন রুবেল হোসাইন-রেজাউর রহমানরা। খুলনাকে ৩১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে প্লে অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করল মাশরাফির দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬১ রান তুলতে পারে খুলনা।
এই হারে ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে খুলনা টাইগার্সের প্লে অফ খেলার স্বপ্ন। ৮ ম্যাচ থেকে দলটি সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র ৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে, খুলনার বিপক্ষে জিতে ১০ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও শক্ত করে শেষ চারে চলে গেল সিলেট স্ট্রাইকার্স।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এই ম্যাচেও বাজে শুরু করে খুলনা। মাত্র ২০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে দলটি। বালবির্নি ৭ এবং তামিম ১২ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর তিনে নেমে শেই হোপ ঝড় তুলে আশা জাগান খুলনার ভক্তদের। তবে ২২ বলে ২টি করে চার-ছয়ে ৩৩ রান করে হোপ ফিরলে খুলনার আশাও উবে যায় অনেকাংশে।
চারে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ধীরে খেলেন। ২১ বলে ২০ রান করে ফিরে যান তিনি। পাঁচে নেমে আজম খানও এদিন ঝড় তোলেন। মাত্র ১৭ বলে ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ৩৩ রান করে আজম ফিরলে খুলনার জয়ের আশা থেমে যায় একেবারেই।
শেষ দিকে আর কেউই বলার মতো কোনো রানই করতে পারেনি খুলনার জন্য। বরং সিলেটের বোলাররা ছড়ি ঘুরাতে থাকেন। এই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সিলেটের রুবেল হোসাইন ৪ উইকেট শিকার করেন ৩৭ রানের বিনিময়ে। রুবেল ছাড়াও আমির এবং রেজাউর রাজা শিকার করেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে তৌহিদ হৃদয় এবং জাকির হাসানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বিশাল স্কোর দাঁড় করায় সিলেট। দুই উদীয়মান তারকাই ঝড়ো ইনিংস খেলে ফিফটি পূর্ণ করেন। দুইজনে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১১৪ রান। সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ম্যাচসেরা তৌহিদ। তাও মাত্র ৪৯ বলে ৯ চারের সুবাদে। ১৫১ স্ট্রাইক রেটে।
অন্যদিকে ১৩৯ স্ট্রাইক রেটে জাকির হাসান করেন ৫৩ রান। ৩৮ বলে ২টি চার ও ৪টি ছয়ের মাধ্যমে। এই দুই ব্যাটার ছাড়া নিচের দিকে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রায়ান বার্ল এবং থিসারা পেরেরাও। বার্ল মাত্র ১১ বলে ১টি চার ও ২ ছয়ে করেন অপরাজিত ২১ রান। পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছয়ে অপরাজিত ১৭ রান।
খুলনার পক্ষে মার্ক দেয়াল ৪০ রানের বিনিময়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়াও আরিফুল ২৫ রানে এবং নাহিদ রানা ৩৪ রানে ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এনএস//