ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটকে হারিয়ে কুমিল্লার চতুর্থ শিরোপা জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ শিরোপা জয় করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এছাড়া টানা দ্বিতীয় শিরোপাও ঘরে তুলল দলটি। তবে প্রথমবারের মতো সিলেটের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ফাইনালে উঠলেও রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো।

এর আগে ২০১৫, ২০১৮ ও ২০২২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। গতবার ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দাপুটে জয়ই তুলে নেয় ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বের কুমিল্লা। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা সিলেট নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ পায়। তবে জবাবে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও জনসন চার্লসের ঝড়ো ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ও ৪ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।

১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৭ রান তোলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও সুনীল নারাইন। রুবেল হোসেনের বলে নারাইন ৫ বলে ১০ রান করে ফেরেন। এরপর জর্জ লিন্ডের বলে দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল (২)। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে চার্লসকে নিয়ে ঝড়ো ৫৭ বলে ৭০ করে জয়ের ভীত গড়ে দেন লিটন।

অবশেষে এই ওপেনার ৩৯ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৫ করে রুবেলের দ্বিতীয় শিকার হন। তবে পঞ্চম উইকেটে নামা মঈন আলীকে নিয়ে ফের ঝড় তোলেন চার্লস। এবার এই জুটি ৪০ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় পাইয়ে দেন। এই ক্যারিবিয়ান ৫২ বলে ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৭৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। আর ১৭ বলে ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন মঈন।

টস জিতে এর আগে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আন্দ্রে রাসেলের করা প্রথম ওভারে ১৮ রান তোলে সিলেট। কিন্তু পরের ওভারেই ম্যাচে ফিরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। নিজের করা প্রথম বলেই রানের খাতা না খোলা তৌহিদ হৃদয়কে বোল্ড করেন তানভীর ইসলাম। গত কয়েক ম্যাচের মতো এবারও ওপরে ব্যাট করতে নামেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে এটি তার শততম ম্যাচ। কিন্তু গত ম্যাচের মতো এবার ব্যাট ঝড় তুলতে পারেননি সিলেট অধিনায়ক। ফেরেন এক রানেই। রাসেলের বলে কাভারে থাকা ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।

২৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সিলেট। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তারা। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৯ রান আসে তাদের ব্যাট থেকে। এর মাঝে শান্ত ছুঁয়ে ফেলেন এক আসরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০০ রানের মাইলফলক। যার জন্য ফাইনালে ৪৮ রান দরকার ছিল তার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইনিংসের দশম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের ওয়াইড লেংথের বলে চার মেরে সেই কীর্তি গড়েন শান্ত। ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান এই ব্যাটার। কিন্তু ৪৫ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৪ রানেই থামতে হয় তাকে।

ইনিংসটি খেলার পথে দুইবার জীবনও পান শান্ত। অষ্টম ওভারে তানভীর ইসলামের বলে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন শর্ট মিডউইকেটে থাকা ইমরুল কায়েস। কিন্তু শান্তর শটের জোর এতোটাই ছিল যে তা তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন কুমিল্লা অধিনায়ক। তাতে ৫১ রান নিয়ে আসর শেষ করলেন শান্ত। বাঁহাতি এই ওপেনারের মুশফিক যোগ্যসঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। একে একে বিদায় নেন রায়ান বার্ল (১৩), থিসারা পেরেরা (০), জর্জ লিন্ডা (৯) ও জাকির হাসান (১)। মোস্তাফিজের শিকার হওয়ার আগে দুইবার জীবন পান লিন্ডা। পরপর দুই বলে তার ক্যাচ ছাড়েন মঈন আলী ও লিটন দাস। তবে মুশফিক অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৪ রান করেন তিনি। রাসেলের করা শেষ ওভার থেকে একাই তোলেন ১০ রান। তাতে ৭ উইকেটে ১৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট।

কুমিল্লার হয়ে মোস্তাফিজ দুটি, রাসেল, নারাইন, তানভীর ও মঈন নেন একটি করে উইকেট।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি