রাজশাহীকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে কিংস
প্রকাশিত : ১৯:৪০, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
দুর্বার রাজশাহীকে ব্যাট হাতে তুলোধুনো করেছে চিটাগং কিংস। এরপর বল হাতেও তাদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে সাগরিকা পাড়ের দলটি। প্রথম ইনিংসে যেখানে চার ছক্কার ঝড় উঠেছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে সেখানেই যেন বধ্যভূমি। তাতে রেকর্ড ব্যবধানে তাসকিনদের হারিয়ে আসরে নিজেদের জয়ের খাতা খুললো চিটাগং কিংস।
মিরপুরে শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারিয়েছে মিথুনের দল। বিপিএলের ইতিহাসে এটি সমন্বিতভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। সমান ব্যবধানে ২০১৯ সালে জিতেছিল ঢাকা ও কুমিল্লা ফ্র্যাঞ্চাইজি। সর্বোচ্চ ১১৯ রানে জয়ের রেকর্ডটিও চিটাগংয়ের দখলে।
এদিন ২২০ রান তাড়া করতে নেমে ১৭.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানে থামে রাজশাহী। চিটাগংয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম। ২টি করে উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ওয়াসিম।চিটাগংকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে ১২৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন উসমান খান। এবারের আসরে তিনিই প্রথম শতকের দেখা পেলেন।
প্রথম ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৩৭ রানের হার দিয়ে আসর শুরু করেছিল চিটাগং। জয় পেতে অবশ্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। দ্বিতীয় ম্যাচেই পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছিল রাজশাহী। তৃতীয় ম্যাচে এসে আবার হারের স্বাদ পেলো তারা।
শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বিশাল সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে রাজশাহী। ৫ বলে ৮ রান করে প্রথম ওভারেই শরিফুল ইসলামের শিকার হন সাব্বির হোসেন। ৯ বলে ৮ রান করে দলীয় ৪১ রানে আউট হন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে বিদায় নেন একপ্রান্ত আগলে ঝড় তোলা মোহাম্মদ হারিসও। ১৫ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩২ রানে থামেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন আকবর আলী ও ইয়াসির আলী। তবে তাদের সুযোগ দেননি চিটাগংয়ের বোলাররা। ১২ বলে ১৮ রান করে আকবর আর ১৫ বলে ১৬ রান করে ইয়াসির আউট হন। দলীয় ৯৬ রানে রায়ান বার্লও আউট হলে হার একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় রাজশাহীর। ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন আগের ম্যাচে ঝোড়ো ফিফটি হাঁকানো জিম্বাবুয়ের এ ব্যাটার। তার বিদায়ের দলের খাতায় আর ১৮ রান যোগ হতে অলআউট হয় রাজশাহী। তাতে ১০৫ রানের বড় জয় পায় চিটাগং।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আসরের সেরা সংগ্রহ পায় চিটাগং। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান সংগ্রহ করে চিটাগং। চলতি আসরে এর আগে তৃতীয় ম্যাচে চিটাগংয়েরই বিপক্ষেই ২০৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল খুলনা টাইগার্স।
চিটাগংকে আসরসেরা সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে ৬২ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৩ রান করেন উসমান। এছাড়া ২৫ বলে গ্রাহাম ক্লার্ক ৪০, ১৫ বলে মোহাম্মদ মিথুন ২৮ রান করেন।
রাজশাহীর বোলারদের তুলোধুনো হওয়ার দিনেও উজ্জ্বল ছিলেন তাসকিন। আগের ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে বিপিএলে রেকর্ড গড়া পেসার এদিন ২২ রান খরচায় ২ উইকেট নেন।
এমবি