জুন থেকে ব্যস্ততা বাড়ছে টাইগারদের
প্রকাশিত : ০০:০৬, ২৪ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩৫, ২৪ মার্চ ২০১৮
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যদের সামনে এখন লম্বা বিরতি। আগামী জুনের আগে তাদের সামনে আর কোনো সিরিজ নেই। তবে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যস্ত সূচির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে টাইগাররা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলংকাকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে শুরু। এরপর শ্রীলঙ্কার সাথে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। সবশেষ চলতি মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কা আর ভারতের সাথে নিদাহাস ট্রফিতে খেলে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
টানা তিন মাসের ব্যস্ত সূচির পর আগামী জুলাই মাস থেকে ওয়েস্টি ইন্ডিজের সাথে সেখানেই সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আর তার জন্য জুনের শেষদিকেই দেশ ছাড়বে টাইগার দল।
এর মাঝ খানে প্রায় তিন মাসের ছুটি থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাচ্ছে না বিশ্রাম দীর্ঘায়িত করতে। জুন মাসের শুরুতেই আফগানিস্তানের সাথে একটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ভারতের নইডায় অনুষ্ঠিত হতে পারে এ সিরিজ।
আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ হোক বা না হোক, জুনের ২০ তারিখ ওয়েস্টি ইন্ডিজ পৌছানোর দিন ধার্য আছে টাইগারদের। ২৮ জুন অ্যান্টিগায় একটি প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্যে দিয়ে সিরিজ শুরু করবে টাইগাররা।
ঐ সিরিজে ২টি টেস্ট, ৩টি পঞ্চাশ ওভারের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আর ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে মাশরাফি-সাকিবরা। ৫ আগস্ট শেষ টি-টোয়েন্টির মাধ্যমে ক্যারিয়ান দ্বীপে সিরিজ শেষ করবে বাংলাদেশ।
এর ঠিক পরপরই অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ। তবে সিরিজটিতে আর্থিকভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া লাভবান হবে না এমন অজুহাতে ঝুলে আছে সিরিজের ভাগ্য। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যস্ত থাকবে এশিয়া কাপ নিয়ে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এশিয়া কাপ খেলতে ভারত যাবে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে এরপর বাংলাদেশের ব্যস্ততা থাকবে দেশীয় মাঠে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বিপিএল হবে অক্টোবর আর নভেম্বর মাস জুড়ে। আর এর পরপরই আবারও ওয়েস্টি ইন্ডিজের সাথে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আছে টাইগারদের। তবে এবার দেশের মাটিতেই।
জুনের পর থেকে একেবারে বছরের শেষ ভাগ পর্যন্ত ব্যস্ততার আগে চলতি ছুটি দলের জন্য ভালো হবেই মনে করছে টিম বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দলের ম্যানেচার এবং শেষ সিরিজগুলোতে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজন আজ গণমাধ্যমকে বলেন, “আফগানিস্তান সিরিজটা যদি হয় তাহলে এরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। তারপরেই এশিয়া কাপ। তাই প্রস্তুত হতে দল তখন খুব একটা সময় পাবে না। তাই এই সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে”।
“জুন থেকে শুরু হওয়া ব্যস্ততা চলবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়াও সামনের দুই বছর আরও ব্যস্ত সময় সূচি থাকবে বাংলাদেশের জন্য। এই সময় চোট কিংবা মানসিক ছন্দ হারিয়ে ফেলার মত ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দল প্রস্তুত রাখতে হবে। কয়েকজনকে রিজার্ভ বেঞ্চে রাখতে হবে”।
এদিকে আন্তর্জাতিক সময় সূচি বাদ দিলেও জুনের আগের পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটেও ব্যস্ত থাকবেন অনেক খেলোয়াড়। এসময় প্রিমিয়ার লীগ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগ (বিসিএল) এ খেলবেন খেলোয়াড়েরা।
//এস এইচ এস//