ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বার্সা ৪ রোমা ১

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭, ৫ এপ্রিল ২০১৮

বার্সেলোনাকে আটকানোর খুব চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো রোমা। কাম্প নউয়ে দুই দলের লড়াইয়ে ইতালির দলটি মাঠ ছাড়লো হারের হতাশা নিয়ে। তাদের দুই আত্মঘাতী গোলের সঙ্গে জেরার্দ পিকে ও লুই সুয়ারেসের লক্ষ্যভেদে সহজ জয় পেয়েছে এরনেস্তো ভালভেরদের শিষ্যরা।  

বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৪-১ গোলে জিতেছে কাতালানরা।

লিওনেল মেসিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ছিল ইতালির দলটির। দলটির ডিফেন্ডার কোসতাস মানোলাস দিনকয়েক আগে পেপ গার্দিওলার করা ‘মেসিকে আটকানোর কোনও পথ নেই’ মন্তব্যের সঙ্গে একমত হয়েছিলেন। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে তারা আটকাতে পেরেছে। গোলহীনভাবেই মাঠ ছেড়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। কিন্তু মেসিকে আটকাতে গিয়েই নিজেদের সর্বনাশটা করেছে তারা। মেসির পায়ে যাতে বল না যায়, সেই চেষ্টা করতে গিয়েই নিজেদের জালে বল জড়ায় সফরকারী দলটি। এরপর আরও একবার আত্মঘাতি গোল উপহার দেয় তারা কাতালানদের। আর পরে পিকে ও সুয়ারেস স্কোরশিটে নাম তুললে বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সা।

শুরুতে কাতালানরা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি। কারণ তাদের অগোছানো খেলায় প্রথম সুযোগটা আসে মেসির পা ধরেই। বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে শট করেছিলন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আচমকা শটটি ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন রোমা গোলরক্ষক আলিসন।

ম্যাচের ৮তম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল না হলে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সা। পরে ১৮তম মিনিটে রাকিতিচের রংধনু শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হলে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি বার্সার।

প্রবল চাপ তৈরি করা বার্সেলোনা ৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় আত্মঘাতী গোলে। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা বল বাড়াতে চেয়েছিলেন মেসিকে। ছুটে এসে স্লাইড করেন দানিয়েল দে রস্সি। রোমা অধিনায়কের পায়ে লেগে বল জড়ায় নিজেদের জালে। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে রোমা।

বিরতি থেকে ফিরে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বার্সেলোনা। গোলও আদায় করে নেয় দ্রুত। তবে ৫৪ মিনিটে মেসির ডান পায়ের শট ঠেকিয়ে দেন রোমা গোলরক্ষক। ইনিয়েস্তার চমৎকার পাস রোমার এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে মেসি ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে, এরপর ডান পায়ে শট নিলেও তা ঠেকিয়ে দেন আলিসন। কিন্তু ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে উমতিতির শট রোমার ডিফেন্ডার মানোলাসের পায়ে লেগে জালে জড়ালে আরও একবার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বার্সার বিপক্ষে পঞ্চম আত্মঘাতী গোল। বার্সার হয়ে শুধু মেসিই সর্বোচ্চ ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ করতে পেরেছে বর্তমান মৌসুমে।

তৃতীয় গোলটা অবশ্য বার্সেলোনাই দিয়েছে। তবে মেসি কিংবা সুয়ারেস নয়, লক্ষ্যভেদ করেন জেরার্দ পিকে। অবশ্য স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের গোলে দুই ফরোয়ার্ডের অবদানও কম নয়। মেসির চমৎকার ক্রস বক্সের ভেতর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলমুখে শট করেছিলেন সুয়ারেস, গোলরক্ষক আলিসন প্রতিহত করলেও ক্লিয়ার করতে পারেননি। তার হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া বল ফাঁকায় থাকা পিকে পায়ের আলতো ছোঁয়ায় জড়িয়ে দেন জালে।

তিন গোল খেয়েও একটি অ্যাওয়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে রোমা। অবশেষে ৮০তম মিনিটে এক গোল শোধ করে তারা। বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এডিন জেকো। ডিয়েগো পেরোত্তির চমৎকার ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একেবারে গোলমুখের সামনে থেকে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্ট্রাইকার।

আর তাতেই যেনো আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে কাতালানরা। শেষ বাঁশি বাজার তিন মিনিট আগে সুয়ারেজ গোল করলে ৪-১ গোলের বড় জয় পায় বার্সা। দেনিস সুয়ারেসের ক্রস রোমার এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের সামনে। এরপর বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়ে দেন সুয়ারেস।

এ জয়ে ৪-১ গোলে এগিয়ে থাকার সুবিধা নিয়ে সামনের সপ্তাহে রোমার মাঠে ফিরতি লেগে নামবে বার্সেলোনা।

সূত্র: গোল ডট কম

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি