ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

মেসিদের কাঁদিয়ে সেমিতে রোমা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২০, ১১ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:২১, ১১ এপ্রিল ২০১৮

রোমার কীর্তিকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দুর্দান্ত এক ম্যাচ খেলে অসাধ্যই সাধন করলো তারা। গড়লো ইতিহাস। মৌসুমজুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা এরনেস্তো ভালভেরদের দলকে ছিটকে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠে গেল ইতালিয়ান ক্লাবটি। অলিম্পিক রোমা স্টেডিয়ামে ৮২ মিনিতে মানোলাস হেডে যখন গোল করলেন তখন যেন আনন্দের জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল রোমা স্টেডিয়াম। কারণ ওই গোলেই যে নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সার চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়।

মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে জিতে ইউসেবিও দি ফ্রান্সেসকোর দল। গত সপ্তাহে কাম্প নউয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা। রোমার মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়াম যেন তাদের জন্য ছিল আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার মঞ্চ। কিন্তু বিস্ময়কর হারে বিদায় নিতে হলো স্প্যানিশ জায়ান্টদের। দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠলো রোমা।  

যার দরুন ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথাতেই জেকোর গোলে এগিয়ে যায় রোমা। ২৬ মিনিটে জেকোর আরও একটি দূরপাল্লার শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। ৪১ মিনিটে বার্সেলোনা ফ্রি কিক পেলেও সেটিকে গোলে রূপান্তর করতে পারেননি লিওনেল মেসি।

ম্যাচের শুরু থেকেই বাজে খেলতে থাকে ভালভার্দের দল। মাত্র ৬ মিনিটে এডিন জেকোর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচের ২৬তম মিনিটে জেকোর আরও একটি দূরপাল্লার শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। পরে ৪১তম মিনিটে বার্সেলোনা ফ্রি কিক পেলেও সেটিকে গোলে রূপান্তর করতে পারেননি লিওনেল মেসি।

বিরতি থেকে ফিরেও গোলের আরও সুযোগ তৈরি করতে থাকে রোমা। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ড্যানিয়েল ডি রোসির গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। ২০১০ সালে ঘরে মাঠে বায়ার্নের সঙ্গে গোল করার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে এটি তার কেবলমাত্র দ্বিতীয় গোল।

খেলার ৮ মিনিট বাকি থাকতে চেঙ্গিজ আন্ডারের ক্রস থেকে মানোলাসের দুর্দান্ত হেড ঠেকাতে পারেননি বার্সার জার্মান গোলরক্ষক। আর এতেই রোমা পায় তাদের আকাঙ্ক্ষিত সেমিফাইনালের দেখা।

শেষ দিকে মেসি ও উসমান দেম্বেলে তাদের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। আর অবিশ্বাস্য জয়ে শেষ চারের টিকিট কাটে রোমা। একই সঙ্গে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেলো লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সার। এই ম্যাচে একদমই নিষ্প্রভ ছিলেন বার্সেলোনার প্রাণভোমড়া লিওনেল মেসি। যখন দলের সবথেকে বেশি প্রয়োজন ছিল তাকে তখনই তিনি জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেন।

শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে রোমার বেঞ্চের সব খেলোয়াড়-কোচরা মাঠে ছুটে যান উৎসবে যোগ দিতে। গ্যালারিতে সমর্থকদের চোখে ছিল অশ্রু, নিজেদের অবিশ্বাস্য অর্জনটাকে যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না!

ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় এর আগে শেষ সেমিফাইনালে উঠেছিল রোমা ১৯৮৪ সালে। ওইবার ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে তারা হেরে যায় লিভারপুলের কাছে।

পাঁচবারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা এই নিয়ে টানা তিন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়লো। সবশেষ ২০১৪-১৫ আসরে এর শিরোপা জিতেছিল তারা।

সূত্র: গোল ডটকম

একে// এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি