স্টুয়ার্ট ব্রডকে দেখে নতুন গ্রিপ রপ্ত করেছেন মাশরাফি
প্রকাশিত : ১৬:৫০, ১২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫১, ১২ এপ্রিল ২০১৮
ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা। বয়স ৩৫ হবে অক্টোবরে। ক্যারিয়ারে প্রায় দেড় যুগ কাটিয়ে দিয়েছেন এ পেসার। এই পর্যায়ে এসেও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গড়েছেন সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। কিভাবে ধরা দিল সেই অর্জন? এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে ক্রিকেট প্রেমিদের মনে। মাশরাফি বিন মুর্তজা জানালেন তার পেস বোলিংয়ের ধারাপাত।
এ পেসার জানালেন, তিনি স্টুযার্ট ব্রডকে দেখে শেখেন। ম্যাকগ্রা-আসিফের পরামর্শ মেনে এখনও তিনি টিকে আছেন, প্রতিনিয়ত শেখা আর নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তাড়না আর নিবেদনের গল্প।
প্রিমিয়ার লিগে উইকেটের রেকর্ড নিয়ে তিনি বলেন, টুর্নামেন্ট শেষের কদিন পর পেছন ফিরে তাকিয়ে ভালো লাগছে। দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, নিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। তবে এত এত উইকেট নেওয়ার পরিকল্পনায় আমি যাইনি। আমার প্রথম চাওয়া ছিল যে ১৬টি ম্যাচের সবকটি খেলব। এর পর বোলিংয়ে গত ত্রিদেশীয় সিরিজে যে বোলিং করেছি, সেটা ধরে রাখব। ওই ছন্দ যেন থাকে। ত্রিদেশীয় সিরিজ হারার পর মানসিকভাবে হতাশ ছিলাম বেশ। সময়ের সঙ্গে সামলে নিয়েছি। চেষ্টা করেছি ওই টুর্নামেন্টের বোলিংয়ের ছন্দ ধরে রাখতে। ছন্দ ধরে রাখতে চাই বলেই বিসিএলের শেষ রাউন্ড খেলব। আমি এখন কেবল একটা ফরম্যাটই খেলছি বাংলাদেশের হয়ে। এত খেলা তো নেই। নিজেকে তৈরি রাখতে চাই এই ম্যাচগুলো খেলা জরুরি।
মাশরাফি বলেন, সিমে বল ফেলার কাজটা বরাবরই ভালো হয় আমার। পেস কমে যাওয়ার পরও টিকে আছেন সিমে বল নিয়মিত ফেলতে পারেন বলেই। তিনি বলেন, অনেকের ভেতর সহজাতভাবেই থাকে। হয়ত এমনই সিমে পড়ে। তবে ৯৫ শতাংশেরই হয় না। আমি এই ৯৫ ভাগের দলেই, কাজেই আমাকে হোমওয়ার্ক ও অনুশীলন করতে হয়। আমি এটা করতে করতে যখন দেখলাম কাজ হতে শুরু করেছে, তখন মজা পেয়ে গেলাম। আরও বেশি করলাম। ফল মিলবেই।
মাশরাফি জানান টিভি, ভিডিও দেখেও অনেক শিখেছেন। তিনি বলেন, স্টুয়ার্ট ব্রডকে দেখেছি সেমিক্রস গ্রিপে বল করে অনেক। ৪০০ টেস্ট উইকেট পেয়েছে, নিশ্চয়ই কার্যকর এটা। ওর কিছু গ্রিপ দেখে দেখে অনুশীলন করেছি। রপ্ত করেছি। কাজে লাগিয়েছি। যদিও আমার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে, এরপরও নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাই। উন্নতি করতে চাই। লিগে ভালো করায় নতুন এই গ্রিপগুলো নিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আরও অনুশীলন করব, আরও কাজ করে এরপর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করব। আশা করি ভালো হবে। কারণ শুরু থেকেই বেশ ভালো হচ্ছে এসব।
শুধু লিগই নয়, জাতীয় দলের জন্যও অনেক কিছু করার তাড়না কাজ করে মাশরাফির। আগেও যেটা বলেছে, এখন বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ানডেতে এমন সব ফ্ল্যাট উইকেট পাচ্ছি আমরা, পেসারদের টিকে থাকা কঠিন। আর ৬ মাস খেলি বা এক বছর, যদি নতুন কিছু না শিখি, টিকে থাকা কঠিন।
একে// এআর