অশ্বিন–রশিদই মোস্তাফিজের ‘সান্ত্বনা’
প্রকাশিত : ২১:১৩, ২০ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২২:২৫, ২০ এপ্রিল ২০১৮
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। ১৭ এপ্রিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উইকেটশূন্য এমন বোলিংয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ তার। গত তিন বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং ছিল ওদিন।
তবে বাংলাদেশের এ কাটার মাস্টার সান্ত্বনা খুঁজে নিতে পারেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর রশিদ খানের কাছ থেকে। বোলিংয়ে এ তিনজনই নিজ নিজ দলের বড় ভরসা। তাদের প্রতি দলের প্রত্যাশাও অনেক।
অশ্বিন, রশিদ, মোস্তাফিজরা যে দলের বড় ভরসা, সেটি অসংখ্যবার করে দেখিয়েছেন। কিন্তু নিয়মিত ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নেবেন আর ব্যাটসম্যানরা ছেড়ে দেবে এটা কি হয়? তাইতো তিন দিনের ব্যবধানে তিন তারকা বোলারই এক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন।
বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বাজে বোলিং করেছেন দলের নির্ভরযোগ্য বোলিং মোস্তাফিজুর রহমান। রান খরচায় প্রথমবারের মতো ‘ফিফটি’ তার। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হওয়ার কথা তার। তবে এ তরুণ পেসারের সান্ত্বনা হতে পারে, অশ্বিন ও রশিদ। কারণ এ দুজনই গতকাল মোহালিতে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বাজে বোলিং করেছেন।
গতকাল জেগে উঠেছিলেন ক্রিস গেইল। গেইল যদি জাগেন, সেদিন পৃথিবীর সেরা বোলারটাও যে পাড়ার বোলারে পরিণত হন, সেটি রশিদকে দেখে আরেকবার বোঝা গেল। আফগান লেগ স্পিনারের এক ওভারে টানা চার ছক্কা মেরেছেন জ্যামাইকান এ তারকা। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৯৫ টি-টোয়েন্টি খেলা রশিদ এর আগেও দুবার ৫০-এর বেশি রান দিয়েছেন।
রশিদের দুর্ভাগ্য, গেইল নামের দৈত্যটা জেগে উঠেছেন তার বিপক্ষেই! কিন্তু অশ্বিনের বিপক্ষে এমন খুনে ব্যাটসম্যান ছিল না। গেইল-ঝড়ে পাঞ্জাবের যে স্কোর, তাতে অশ্বিনের চাপমুক্ত বোলিংয়ের কথা। কিন্তু পাঞ্জাব অধিনায়ক ৪ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য। মোস্তাফিজের মতো অশ্বিনেরও প্রথমবারের মতো রান খরচে ‘ফিফটি’ হয়। পার্থক্যটা হলো মোস্তাফিজ টি-টোয়েন্টি খেলছেন ৬৭ আর অশ্বিন ২০০টি।
আর/টিকে