টেস্ট খেলার মতো সামর্থ্য আমার আছে : মাশরাফি
প্রকাশিত : ১১:৫১, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
সাকিব আল হাসানের পর অনেকে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে মনে করেন দেশের ক্রিকেটের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু সেই মাশরাফির ক্যারিয়ারে ইনজুরি যে পরিমাণ ভুগিয়েছে, এমনটি ঘটেছে খুব কম পেশাদার ক্রিকেটারের সঙ্গেই। ইনজুরির ছোবলেই টি-২০ ছেড়েছেন এ পেসার। টেস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় না নিলেও গত কয়েক বছরে তাকে সাদা পোশাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি।
মাঝেমধ্যে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেন ফিটনেস ধরে রাখতে। তবে মাশরাফির বিশ্বাস, টেস্ট খেলার সামর্থ্য তার এখনও আছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন খেলছেন শুধু ওয়ানডে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে লঙ্গার ভার্সন খেলছেন ফাঁকফোকর পেলেই। বিসিএলের দ্বিতীয় দিনের খেলার ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত এ ক্রিকেটার বলেন, ‘বয়স ৩৫ এর কাছে গেলেও যে ফিটনেস আছে তাতে আরও দুই বছর টেস্ট খেলার সামর্থ্য আছে আমার। বিশেষ করে ফিটনেস যে অবস্থায় আছে তাতে পারব। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে, পারফর্ম করে তো খেলতে হবে। এর জন্য তো আমার একটা উপায় বের করতে হবে।’
মাশরাফি বলেন, ‘শুধু নতুন বলে বোলিং করলে হবে না। ওয়ানডের মতো টেস্টে আক্রমণ করে উ্ইকেট নেওয়া যায় না। এখানে উইকেট বের করতে আপনাকে উপায় বের করতে হবে। আর নতুন বলের পর পুরান বলে আরও লম্বা সময় খেলা হয়। সেই সময়ে বোলিং করার উপায় বের করতে হবে। তার জন্য পথ বের না করে কিছু বলা কঠিন।’
তবে সবকিছু মিলিয়ে মাশরাফি টেস্টে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী নন এখনই। তিনি বলেন, ‘লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে তখন আমি বুঝতে পারব কী পথ বের হবে।’
তবে তাই বলে লুকিয়ে রাখেননি টেস্ট নিয়ে তার ফ্যান্টাসির কথা। মাশরাফি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটের কথা বললে, আমার ইচ্ছা আছে। তবে এভাবে হুটহাট করে হবে না। আমি তো (প্রথম শ্রেণির ম্যাচ) খেলি নির্দিষ্ট একটা চিন্তা থেকে। একটা ম্যাচে যদি ২৫-৩০ ওভার বোলিং করি, তাহলে আমার পরের চার-পাঁচ সপ্তাহের ওয়ার্কআউটটা হয়ে যায়। আমি কিন্তু ওই মানসিকতা থেকেই খেলি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে তরুণ কিছু পেসার সম্পর্কে মাশরাফি বলেন, ওদের এখন থেকেই জাতীয় দলের জন্য তৈরি করতে হবে। তবে তাদের ইচ্ছেটা কী, সেটাও দেখতে হবে। ওরা কি টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে খেলে গ্ল্যামারটাই উপভোগ করতে চায়, নাকি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চায়। আমি এখনও গর্ব বোধ করি যে, আমি টেস্ট ক্রিকেটার। এখন খেলতে না পারলেও গর্বটা আছে। তরুণদের উচত এ জায়গায় মনোযোগ দেওয়া।
একে// এআর