চোখের জলে বার্সেলোনাকে বিদায়
প্রকাশিত : ১১:১৩, ২৮ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১২:৪৭, ২৮ এপ্রিল ২০১৮
শৈশব থেকেই খেলছেন এই পরিবারে। বিশ্বের অনেক তারকাকেই দেখেছেন এই পরিবারে আসতে আর যেতে। এত বছর একটি পরিবারে থেকে বিদায় বলাটা সহজ হচ্ছে না ইনিয়েস্তা। অবশেষে চোখের জলে বিদায় জানালেন আশৈশবের ক্লাব বার্সেলোনাকে। চোখ গড়িয়ে জলধারা নেমে আসা আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা চলতি মৌসুম শেষেই বিদায় নিচ্ছেন প্রাণের ক্লাব থেকে। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে চোখের জলে বিদায় জানালেন আশৈশবের ক্লাবকে।
বিদায়ী বক্তব্যে ইনিয়েস্তা বলেন, , ‘এখানে (বার্সেলোনা) এটাই আমার শেষ মৌসুম। অনেক দিন ধরে ভেবেচিন্তে এ সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। আমার কাছে বার্সা বিশ্বের সেরা ক্লাব। এ ক্লাব আমাকে সবকিছু দিয়েছে। ২২ বছরের বার্সেলোনা ক্যারিয়ারকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্তটা মোটেও সহজ ছিল না আমার জন্য। তবে সবকিছুর যে শেষ আছে, আমিও তার ঊর্ধে নয়।’
নিপাট ভদ্রলোক ইনিয়েস্তা এরপরই নিজের পরিচয়টা আরও একবার জানালেন, ‘আমি যদি বার্সেলোনায় ক্যারিয়ার শেষ করার কথা কখনো ভেবে থাকি, সেটা এভাবেই করতে চেয়েছি। দলের কাজে লেগেছি, নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ করেছি এবং শিরোপা জিতেছি। এটা আমার জন্য অনেক কঠিন দিন, কারণ সারা জীবন আমি এখানেই ছিলাম। আমার ঘর ও জীবনকে বিদায় বলা খুব কঠিন। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতে আমি আমার সেরাটা দিতে পারতাম না। আমি আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার এ পর্যায়ে আসার পেছনে বার্সা ও লা মেসিয়ার অবদান। বার্সা আমাকে সব দিয়েছে। আমি ওদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
মাত্র ১২ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে ইনিয়েস্তা পা রাখেন বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ায়। পরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার। একাডেমি শেষে যুব দল পেরিয়ে কাতালান ক্লাবটির মূল দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে উঠতে সময় লাগেনি তার। বার্সেলোনার হয়ে ১৬ মৌসুম মাঠ মাতিয়ে অবশেষে চোখের জলে ইতি টানতে যাচ্ছেন বার্সার এ মিডফিল্ডার। ঘোষণা দিলেন, সামনের গ্রীষ্মের পর নীল-মেরুন জার্সিতে আর দেখা যাবে না মধ্যমাঠের এই মহাতারকাকে।
২০০২-০৩ মৌসুমে বার্সেলোনার মূলদলে মূল দলে অভিষেক হয় ইনিয়েস্তার। ১৬ বছরে জয় করেছেন ৩১টি শিরোপা। বার্সেলোনা ক্যারিয়ারে তিনি লা লিগার শিরোপা জিতেছেন আটটি। সঙ্গে নামের পাশে যোগ করেছেন চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। বিদায়বেলায় ইনিয়েস্তা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন ছয়টি কোপা দেল রে, সাতটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ ও তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের সুখস্মৃতি।
সূত্র: গার্ডিয়ান
এমজে/