ফুটবলে নতুন কোচ জেমি
প্রকাশিত : ১১:২২, ১৮ মে ২০১৮
জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ হলেন ব্রিটিশ জেমি ডে। গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।
জীবনবৃত্তান্তই বলে দিচ্ছে অভিজ্ঞতায় স্বয়ংসম্পূর্ণ মাত্র ৩৮ বছর বয়সী জেমি। সব ঠিক থাকলে খুব শিগগিরই তার সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছে বাফুফে। তবে তার আগে শনিবার এই কোচের বিষয়ে যাবতীয় বিষয় মিডিয়ার সামনে তুলে ধরতে চায় দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ এই সংস্থাটি।
উইকিপিডিয়া ঘেঁটে বেশ তথ্য জানা গেল জেমি ডে সম্পর্কে। খুব অল্প বয়সেই ইংল্যান্ডের লিলস হল ন্যাশনাল স্পোর্টস সেন্টারে যোগ দেন জেমি। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ের ফুটবল খেলেন এবং আর্সেনালের সঙ্গে পেশাদারি চুক্তিও করেন।
তবে ইনজুরির জন্য ফুটবল ক্যারিয়ারটাকে খুব বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি ১৯৭৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া এই কোচ। তাই কোচিং পেশাকেই বেছে নেন। বনে যান আর্সেনাল এফসি এবং শার্লটন অ্যাথলেটিকের যুব দলের কোচ।
কোচিং ক্যারিয়ারে ইডি হাউ এবং আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গেও কাটিয়েছেন। উয়েফা এ-লাইন্সে করে ২০০৯ সালে সিনিয়র কোচ হন। ২০১৩ সালে কনফারেন্স সাউথ ক্লাবকে শিরোপা এনে দেন এবং দলটিকে প্রিমিয়ারে তুলেন। পরবর্তীতে ২০১২-১৩ মৌসুমে গিলিংহ্যাম এফসির মতো দলে প্রথমবার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পান। সম্প্রতি সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন ব্যারো এএফসিতে।
পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির এই মিডফিল্ডার ইংল্যান্ডের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৬, ১৭ ও ১৮ দলে খেলেছেন। ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত গোল করেছেন ২৬টি। ১৯৯৭-৯৯ সালে আর্সেনালে থাকলেও একাদশের বাইরে ছিলেন। পরবর্তীতে বর্নমাউথে গিয়ে ২০ ম্যাচে এক গোল পান। ক্যারিয়ারে ডোভার অ্যাথলেটিক, ওয়েলিং ইউনাইটেডের মতো দলে খেলেছেন।
ম্যানেজার হিসেবে পরিসংখ্যানও খুব একটা খারাপ নয় জেমির। ২০০৯ সালে ওয়েলিং ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে ২৪৫ ম্যাচের ১১৭টিতে জয়, ৭১টিতে ড্র করলেও হেরেছেন ৫৭ ম্যাচে। ২০১৪ সাল থেকে ’১৫ পর্যন্ত এবসফ্লিট ইউনাইটেডে ২৫ ম্যাচে ১০ জয়, পাঁচটিতে ড্র করলেও হেরেছেন ১০টিতে।
২০১৬ সালে এক বছরে ব্রেনট্রি টাউনে ১২টি ম্যাচে ম্যানেজার হিসেবে ছিলেন। যেখানে তার সাফল্য দু’জয়, তিন ড্র ও সাত ম্যাচে হার। পরের বছর ফের ওয়েলিং ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে শতভাগ সাফল্য পান জেমি। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। ক্যারিয়ারে তার সাফল্যের হার ৪৬.৮৮ ভাগ।
টিআর/এসএইচ/