যে কারণে ডিভিলিয়ার্সকে মনে রাখবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
প্রকাশিত : ২২:৩০, ২৩ মে ২০১৮
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাড়ালেন দক্ষিণ কোরিয়ার মারকুটে ব্যাটসম্যান এবি ডিভিলিয়ার্স। আজ বুধবার টুইটারে নিজ একাউন্টে এক ভিডিও বার্তায় নিজের এই অবসরের ঘোষণা দেন ডিভিলিয়ার্স। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাড়ালেও ক্রিকেটের পরিসংখ্যান আর বিশ্বব্যাপী লাখো ভক্ত অনুসারী ঠিকই মনে রাখবে এবি ডিভিলিয়ার্সকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবুজ জার্সি গায়ে খেলেছেন ২২৮টি ওয়ানডে ম্যাচ এবং ৭৮টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। আর সাদা জার্সিতে খেলেছেন ১১৪টি ম্যাচ। ২০০৪ সালে পোর্ট এলিজাবেথে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে শুরু করেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। পরের বছর একই দলের বিপক্ষে হয় ওডিআই অভিষেক। আর ২০০৬ সালে নিজ দেশের জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে।
প্রায় ১৪ বছরের এই ক্যারিয়ারে টেস্টে মোট রান করেছেন ৮৭৬৫ রান। আছে ২২টি শতক আর ৪৬টি অর্ধ শতক। ৫০ ওভারের সীমিত ফরম্যাটে তার রান ১০ হাজারের কাছাকাছি। মোট রান ৯৫৭৭ রান। আছে ২৫টি শতক আর ৫৩টি অর্ধ শতক। আর ২০ ওভারের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ১০টি অর্ধশতকের সাথে আছে ১৬৭২ রানের সংগ্রহ।
তবে ডিভিলিয়ার্সকে যারা চেনে তারা জানে পরিসংখ্যান তার জন্য সংখ্যাই মাত্র। ডিভিলিয়ার্সকে বলে হয় ‘৩৬০ ড্রিগ্রী ব্যাটসম্যান’। উইকেটের চারপাশে সমান তালে খেলতে পারেন এই সাউথ আফ্রিকান। তার খেলা রিভার্স সুইপ শট এবং হাটু গেড়ে ফাইন লেগে ছক্কা হাকানো বেশ মনে রাখবে ক্রিকেট ভক্তরা।
ডিভিলিয়ার্স এটটাই মারকুটে মেজাজের ছিলেন যে, ৫০ ওভারের ফরম্যাটে দ্রুততম শতকের মালিক তিনি। পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির করা ৩৭ বলে ১০২ রানের রেকর্ডও ভেঙ্গে ফেলেছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩১ বলে ১০০ রান রেকর্ড হাকান ডিভিলিয়ার্স। ওই ম্যাচে ৪৪ বলে ১৪৪ রান করেন তিনি।
ডিভিলিয়ার্সের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৭৬ রান করেছিলেন ২০১৭ সালে।
ডিভিলিয়ার্সের স্ট্রাইক রেট এবং গড় রানও চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো। ওয়ানডে তার স্ট্রাইক রেট ১০১.০৯। আর গড় ৫৩.৫০। টি-টুয়েন্টি গড় রান কম হলেও স্ট্রাইক রেট ১৩৫.১৬।
ম্যাচের যেকোন অবস্থাকে ম্যাচের ফলাফলই ঘুরিয়ে দিতে পারেন এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। ডিভিলিয়ার্সের এমন অবসরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমানে নির্বাচক প্যানেলের সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সাউথ আফ্রিকাকে ৬৭ রানে হারিয়েছিল বাশারের দল। সেই ম্যাচের কথা স্মরণ করে বিবিসিকে তিনি বলেন, “ডিভিলিয়ার্স যেকোন দিনের ম্যাচ উইনার। তিনি ক্রিজে আছেন মানে তার ওপর দল ভরসা রাখতে পারে। যেকোন খারাপ অবস্থা থেকে দলকে টেনে তুলতে পারেন তিনি”।
ডিভিলিয়ার্স তার এই সংক্ষিপ্ত ক্যারিয়ারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে দিয়ে গেছেন অনেক কিছু। তার মারকুটে ব্যাটিং এর পাশাপাশি নিজস্ব ছন্দের খেলার জন্য ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এই আফিকান।
সূত্র: বিবিসি
//এস এইচ এস// টিকে