ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মাহমুদুল্লাহকে দিয়ে বল না করানো: কাঠগড়ায় সাকিব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৪, ৪ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৫:২৬, ৪ জুন ২০১৮

গতরাতে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ধরাশায়ী হয়েছে বাংলাদেশ।
এমন হারের কারণ অনুসন্ধানে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। কেউ কেউ বলছেন আফগানিস্তানকে হালকাভাবে নিয়েছিল টাইগাররা। বিপক্ষের যুক্তিও আছে।
ক্রিকেট বোদ্ধারা বলছেন, শেষ তিন ওভারে আফগানিস্তান যে ৫২ রান তুলেছে সেটাই এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এর আগে ভালো মতোই আফগানদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচে অধিনায়ক সাকিবের একটি সিদ্ধান্ত বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সেটি হচ্ছে এক ওভারে মাহমুদুল্লাহ এক রান দিয়ে দুই উইকেট নেওয়ার পরও তাকে দিয়ে বোলিং না করানো। মিডিয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেকে সাকিবের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। এমনকি অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের দূরদর্শিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
অধিনায়ক সাকিবের এই বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত আর শেষ দিকে পেসারদের বাজে বোলিংয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্যটা দাঁড়ায় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। ১ ওভারে ২ উইকেট নেওয়া মাহমুদউল্লাহ আর বোলিংই পেলেন না। ওই সময়ে মাহমুদুল্লাহকে দিয়ে আরও দুটি ওভার করানো যেত। তা না করে সাকিব আস্থা রাখলেন আনকোরা পেসারদের ওপর। আর বেদম মার খেলেন পেসাররা। শেষ ৫ ওভারে আফগানিস্তান তুলল ৭১ রান।
এদিকে রান তাড়ায় যেখানে প্রয়োজন ছিল উড়ন্ত শুরু। হয়েছে উল্টো। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম গোল্ডেন ডাকের জন্য তামিম ইকবাল বেছে নিলেন এই দিনকেই। মুজিব উর রেহমানকে অতি দুর্ভাবনা থেকেই কিনা, প্রথম বলেই সুইপ করতে চেয়ে পরে মত বদলে ডিফেন্স করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ দৃষ্টিকটু ভাবে।
তিনে নেমে সাকিব শুরু করেছিলেন ভালো। তিনিও উইকেট বিলিয়ে এসেছেন বাজে শটে।
চাপ কাটিয়ে ওঠার প্রয়াস ছিল লিটন দাসের ব্যাটে। খেলেছেন দারুণ কিছু শট। তার ২০ বলে ৩০ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসের অপমৃত্যু আম্পায়ারের ভীষণ বাজে এক সিদ্ধান্তে।
ভরসা ছিল তখন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতায়। দুজনের শুরুটাও ছিল ভালো। কিন্তু মুশফিক ফিরলেন প্রত্যাশাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।
রশিদ খানকে নিয়ে জুজুর ভয়টাই হয়ত কাল হলো। প্রথম বলেই এই লেগ স্পিনারকে সুইচ হিট খেলতে গিয়ে বোল্ড মুশফিক। পরের বলে গুগলিতে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে আউট সাব্বির রহমান। বাংলাদেশের আশার একরকম সমাপ্তি ওখানেই।
মাহমুদউল্লাহ লড়াই চালিয়ে গেছেন। তাতে ব্যবধান একটু কমেছে। তারপরও শেষ পর্যন্ত সেটা বেশ বড়।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি