যে কারণে বিশ্বকাপ জিততে পারে ফ্রান্স
প্রকাশিত : ১৩:২৪, ৬ জুন ২০১৮
২০০৬ বিশ্বকাপের পর অনেকটাই পাদপ্রদীপের ছায়ায় চলে যায় ফ্রান্স। তবে ইউরোপ কাপের মধ্য দিয়ে আবারও নিজেদের শক্তির জানান দিতে শুরু করে দেশটি। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বসহ ও প্রস্তুতি ম্যাচেও ঝলক দেখিয়েছি জিনেদিন জিদানের উত্তরসূরিরা। তারুণ্য-অভিজ্ঞতার মিশেলে রক্ষণ, মিডফিল্ড, আক্রমণ—সব ক্ষেত্রেই সাজানো হয়েছে স্কোয়াড।
বিশ্বসেরা কয়েকজন ফুটবলার:
জিনেদিন জিদানদের বিদায়ের পর অনেকেই ফ্রান্সেরও যেন বিদায় দেখছিলেন। তবে দিনে দিনে দলটি অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এর পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে বিশ্বমানের কয়েকজন খেলোয়াড়। এমবাপ্পে, উসমানে ডেম্বেলে, পল পগবা ও আঁতোয়ান গ্রিজমানের মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা রয়েছে এ দলে। তারা যে ক্লাবগুলোর হয়ে নেতৃত্ব দেন, সেখানেই তারা সেরা ফুটবলার। আর একাদশে বিশ্বসেরা মানের ৫ জন ফুটবলার থাকলে, যে কোনো দলকেই মাটিতে নামিয়ে আনার সামর্থ্য থাকে দলটির।
শক্তিশালী স্কোয়াড:
বিশ্বকাপ জেতার জন্য যে রকম স্কোয়াড প্রয়োজন, সেটাই রয়েছে ফ্রান্সের। রক্ষণ, মিডফিল্ড, আক্রমণ—সব ক্ষেত্রেই তারুণ্য ও অভিজ্ঞদের মিশেল দারুণ সামঞ্জস্য দলটির। প্রত্যেক খেলোয়াড় যদি নিজ নিজ পজিশনে সেরাটা দিতে পারেন, তাহলে এবারের বিশ্বকাপটা জিদানদের ঘরে দেখতে পারবেন ফুটবল প্রেমীরা।
ভুল থেকে শিক্ষা:
২০০৬ সালে মাতারেজ্জিকে ঢুস মেরে লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে গেছিলেন জিদান। সঙ্গে তারদলও বিশ্বকাপের ফাইনালের ট্রপিটা ছুঁতে পারেনি। ২০১৪ সালে জার্মানির কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে মাত্র ১-০ গোলের হার এবং ২০১৬ সালে ইউরোপীয় কাপের ফাইনালে পর্তুগালের কাছে হার থেকে শিক্ষা নিতে চায় দলটি।
ধারাবাহিকতা:
২০১৬ ইউরোর ফাইনালে হারের পর ২৭ ম্যাচ খেলে ফরাসিরা। যার মাত্র ২টিতে পরাজয় বরণ করে তারা। বিশ্বকাপ জিততে হলে ফাইনাল পর্যন্ত ৫ থেকে ৬টি ম্যাচ জিততে হয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা এখানে বড় নিয়ামক। নিজেদের এই দিকটি ধরে রাখতে পারলে ফ্রান্সের সুযোগ বেড়ে যাবে বহুগুণ।
এমজে/