প্রথম বিশ্বকাপ: ঘড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রেফারির
প্রকাশিত : ১১:৪৮, ৭ জুন ২০১৮
প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিলো ১৯৩০ সালে। ওই বছর ১৫ জুলাই উরুগুয়ের পার্ক সেন্ট্রালে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স মুখোমুখি। সেদিন রেফারির দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান রেফারি গিলবার্তো দি আলমেইদা রেগো। কিন্তু ঘুরা বন্ধ হয়ে গেছে তার হাতের ঘড়ির চাকা। তখন তিনি ম্যাচ পরিচালনা করবেন কি করে? তিনি হয়ে গেলেন অনুমান নির্ভর। আর খেসারতও দিতে হলো তাকে। ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন তিনি।
এদিকে ম্যাচের ৮১তম মিনিটে লুইস মন্তির গোলে ১-০ এগিয়ে আর্জেন্টিনা। তার তিন মিনিট পর ফরাসিরা আর্জেন্টিনার গোলমুখে দারুণ আক্রমণ সাজিয়েছে। এমন সময়ই রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দিলো। কি কাণ্ড! এর পর যা হয় আরকি। গণ্ডগোল চূড়ান্ত পর্যায়। আর্জেন্টিনা সমর্থকরা মাঠে নেমে পড়েছে জয়ের আনন্দে। অন্যদিকে ফরাসি খেলোয়াড়রা ব্যস্ত রেফারিকে ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে। তখন পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করতে মাঠে নেমে পড়েন ঘোড়সওয়ার পুলিশ।
ওই বিশ্বকাপে ১৯ জুলাই মেপিকোর বিপক্ষে ৬-৩ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন গিলেরমো স্তাবিল। বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকরা আর্জেন্টিনার নামেই লেখা। যাই হোক ওই ম্যাচ হ্যাটট্রিককারী স্তাবিলের খেলার কথাই ছিল না। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মানুয়েল ফেরেরা বিশ্বকাপের মাঝেই দেশে ফিরে গেলেন। কারণ তার আইন পরীক্ষা ছিলো। বুঝুন, তখন বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অপেক্ষা আইন পরীক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
অধিনায়ক না থাকায় খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন স্তাবিল। আর তিনিই কি-না বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকের মালিক হয়ে যান।
একে//