ভারতের কাছে এ কেমন আত্মসমর্পণ আইরিশদের
প্রকাশিত : ১৪:০৩, ৩০ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৫, ২ জুলাই ২০১৮
২০ ওভারের ক্রিকেটে রান-ই তো হয় ১৪০/১৫০ বা বড়জোর ২০০। কিন্তু সেই ব্যবধানে যদি কোনো দলকে হারিয়ে দেওয়া হয়, সেটাতো লজ্জার, চরম অবমাননার। আইরিশদের সেই লজ্জাই দিলেন রোহিত শর্মারা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের নজির হল ১৭২ রানের। একসময় মনে হচ্ছিল কলঙ্কের, লজ্জার, অপমানের এই রেকর্ড আয়ারল্যান্ডেরই হতে চলেছে। শেষ পর্যন্ত তা হল না ঠিকই। তবে ১৪৩ রানে হারও কম বড় যন্ত্রণাদায়ক নয়। টি-টোয়েন্টিতে এটা যুগ্মভাবে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবধানে পরাজয়।
চলতি বছরের গোড়ায় ২০৪ রান তাড়া করে ৬০ রানে থেমে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আয়ারল্যান্ড ২১৪ রান তাড়া করে থামল ৭০ রানে। ১২.৩ ওভারেই শেষ হয়ে গেল ইনিংস। যা মোটেই আইরিশ ক্রিকেটের পক্ষে ভালো বিজ্ঞাপন হয়ে থাকল না।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭৬ রানে এসেছিল ভারতের জয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় এল প্রায় দেড়শো রানে। এই ফরম্যাটে এটাই ভারতের বৃহত্তম জয়। প্রত্যাশামতোই আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ হারাল বিরাট কোহালির ভারত। তবে দুর্বল বিপক্ষের বিরুদ্ধে এই দাপট ইংল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতিতে কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
বুধবারের মতো শুক্রবারও ডাবলিনে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক গ্যারি উইলসন। না নিলেই পারতেন। তা হলে এত বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা সঙ্গী হত না।
প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল চার উইকেটে ২১৩ রান। বুধবারের চেয়েও পাঁচ রান বেশি। শিখর ধাওয়ানকে বিশ্রাম দেওয়ায় ওপেন করতে নামা লোকেশ রাহুল ৩৬ বলে করলেন ৭০। যাতে থাকল ছয়টি ছক্কা ও তার অর্ধেক চার। ২৮ বলে পৌঁছলেন পঞ্চাশে। তিনিই ম্যাচের সেরা। রোহিত শর্মাকে পিছনে পাঠিয়ে ওপেন করতে নেমে কোহালি (৯) অবশ্য দ্রুত ফেরেন। চারে নেমে রোহিতও (০) ব্যর্থ। কিন্তু, তিনে নেমে ৪৫ বলে সুরেশ রায়না করলেন ৬৯। মারলেন পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়। স্লগে ঝড় তুললেন হার্দিক পান্ডিয়া। সাড়ে তিনশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে নয় বলে মারলেন চার ছক্কা ও একটি চার। অপরাজিত থাকলেন ৩২ রানে। মণীশ পাণ্ডে ২০ বলে অপরাজিত থাকলেন ২১ রানে। শেষ ওভারে এল ২১। এই প্রথমবার টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে দু’শো রান পেরিয়ে গেল ভারত।
২১৪ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। সেই ধারাই বজায় থাকল। কোনও জুটি হল না। ৭০ রানে দাঁড়ি পড়ল ইনিংসে। দুই ‘রিস্ট স্পিনার’ মিলে নিলেন ছয় উইকেট। লেগস্পিনার কুলদীপ যাদবের তিন উইকেট এল ২১ রানে। কুলদীপের তিন উইকেট এল ১৬ রানে। উমেশ যাদব (২-১৯), হার্দিক পান্ড্য (১-১০), সিদ্ধার্থ কল (১-৪) বাকি উইকেট ভাগ করে নিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এদিনই প্রথম উইকেট পেলেন পেসার সিদ্ধার্থ।
এমজে/