সামর্থ্যের ওপর আস্থা রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো: মাশরাফি
প্রকাশিত : ১৫:৩২, ২২ জুলাই ২০১৮
দুই টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ওয়ানডেতে ভালো করার প্রত্যয় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ রোববার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের আগে স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় নতুন করে যোগ দিয়েছেন। তাদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী দলের অধিনায়ক ও প্রাণভোমরা মাশরাফি। টিমের সামর্থ্যের উপর আস্থা রেখে জয়ের জন্য সর্বোচ্চ লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে দ্য প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে।টেস্টের হতাশা মোড়ানো স্মৃতিগুলো পেছনে ফেলে ওয়ানডেতে নিজেদের মেলে ধরতে মুখিয়ে আছে টাইগাররা। সঙ্গে আছেন অধিনায়ক মাশরাফির মতো নেতা। যিনি খেলার পুরোটা সময়জুড়ে মাঠে, ড্রেসিংরুমে সহখেলোয়ারদের মাতিয়ে রাখেন। দলের নিউক্লিয়াস ও প্রাণভোমরা। মাশরাফি দলে যোগ দিলেই টাইগাররা কেমন জানি তেতে উঠে।
বাংলাদেশ গায়ানায় ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নই রাখা হয়েছিল মাশরাফির কাছে। টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় যোগ দিয়েছেন। আশা করছি সবার প্রচেষ্টাতে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। অবশ্যই ওয়ানডে ক্রিকেট অনেক শক্ত ফরম্যাটের ক্রিকেট। আমাদের কম্বিনেশনটা বেশ ভালো। আশা করছি রোববার আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারব।
টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে অনেকটাই নির্ভার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিয়মিত ওপেনার কার্লোস ব্র্যাথওয়েট না থাকলেও গেইল ও এভিন লুইসকে পেয়ে বেশ স্বস্তিতে স্বাগতিকরা। তাছাড়া দীর্ঘ ৩ বছর পর ক্যারিবিয়ানদের ওয়ানডে দলে ফিরেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া শাই হোপ, কিয়েরন পাওয়েল, শিমরন হেটমেয়ার, জেসন হোল্ডাররা সামলাবেন স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার।
এমন ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে পরিকল্পনা করে মাঠে নামতে চান ওয়ানডে অধিনায়ক। বলেন, ‘আমরা জানি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মাঠে অনেক শক্তিশালী। তাদের বিরুদ্ধে খেলা খুব কঠিন। তবে আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। আমাদের সামর্থের ওপর আস্থা রেখে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। লাইন-ল্যান্থ মেনে আমাদের ঠিক জায়গায় বল করতে হবে। তাদের ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করে সেভাবেই বোলারদের বল করতে হবে। আমরা শুরুতে যদি ওদের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিতে পারি তাহলে ম্যাচটা আমাদের হাতে চলে আসবে।
বাংলাদেশের জন্য কেবল ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরাই হুমকি নয়। স্বাগতিকদের দলের পেস আক্রমণও বেশ ভয়ঙ্কর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং আক্রমণ সামলাবেন আলজারি জোসেফ ও কিমো পল। তাদের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে থাকবেন দেবেন্দ্র বিশু। সেই সঙ্গে জেসন হোল্ডারতো আছেনই। সবমিলিয়ে টেস্টে সিরিজের মতোই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য হুমকি হয়ে আসতে পারে তাদের বোলিং আক্রমণ। এ ব্যাপারে মাশরাফির ভাবনা, ‘আমার বিশ্বাস ওয়ানডে সিরিজে ব্যাটসম্যানরা ফিরে আসবেন। ওদের বোলরাদের বিপক্ষে ব্যাটিং করা সব সময়ই চ্যালেঞ্জের। কাজটা কঠিন হলেও আমার বিশ্বাস ব্যাটসম্যানরা চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে।’
এই স্টেডিয়ামেই এক যুগ আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে হাবিবুল বাসার সুমনের সেই বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬৭ হারিয়েছিল। যে ম্যাচে ৮৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০০৭ সালের সেই দলের চার সদস্যও রয়েছেন এই বাংলাদেশ— মাশরাফি. সাকিব, মুশফিক ও তামিম।
লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে মাশরাফি মাত্র ১৬ বলে খেলেছিলেন ২৫ রানের ইনিংস। ড্যাসিং ওপেনার তামিম করেছিলেন ৩৮ রান। সাকিব-মুশফিক দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে না পারলেও তাদের সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা আজ অনুপ্রাণিত করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে বোলিংয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। রফিক-রাজ্জাক-সাকিব মিলে প্রোটিয়াদের ছয় উইকেট নিয়ে ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন।
মাশরাফির মনে সংশয়, ‘এখানে আমরা সবশেষ ২০০৭ সালে খেলেছি। জানিনা এখানে এখন খেলা কেমন হবে। আশা করছি ২৬০ থেকে ২৮০ এখানে ভালো স্কোর হবে।’
/ এআর /