ওইন্ডিজকে হারানোর ৫ মন্ত্র
প্রকাশিত : ১৭:৪২, ২২ জুলাই ২০১৮
আজ রোববার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ওয়েষ্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ। টেস্ট সিরিজে দুটো ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ।
এ নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে।এর মধ্যেই বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে।
ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরম্যাটে বরাবরই ভাল করেছে বাংলাদেশ।আর ওয়েষ্ট ইন্ডিজ শেষবার ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ২০১৪ সালে।সব মিলিয়ে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কোচ।তিনি বাংলাদেশের বেশ ক’জন সিনিয়র ক্রিকেটারেরও মেন্টর ছিলেন।বর্তমানে নারী ক্রিকেট দলের মেন্টর হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
তার মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে বাংলাদেশ দলের কিছু কৌশল কাজে লাগাতে করতে হবে।
১. টেস্ট সিরিজের স্মৃতি মুছে ফেলা প্রয়োজন
নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, দলটি টেস্ট সিরিজ নিয়ে বেশি ভেবেছে।তিনি বলেন,‘এমন কিছু আগে ঘটেনি তা কিন্তু নয়।আমাদের আশা বেশি ছিল।এটা সত্য যে,অস্ট্রেলিয়া এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দল উপমহাদেশে এসে নানাভাবে হারে।অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশে এসে টেস্ট হেরেছে।সেই অস্ট্রেলিয়া দলটিও কিন্তু একদম খারাপ ছিল না।
শ্রীলংকার মাটিতেই দক্ষিণ আফ্রিকা চলতি টেস্ট সিরিজে বেশ ভুগছে।
২. ওয়ানডে বাংলাদেশ ভাল বোঝে
ফাহিম মনে করেন, এই মুহূর্তে মোমেন্টাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে।কিন্তু বাংলাদেশের ওয়ানডেতে ফিরে আসার সুযোগ আছে কারণ এই খেলাটা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ভাল বোঝে।বাংলাদেশের এমন কিছু ক্রিকেটার আছে যারা ওয়ানডে ফরম্যাটের সাথে ভালো মানিয়ে নিতে পারে। বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডে খেলেছে জানুয়ারি মাসে।
৩. ওপেনিং জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশের জন্য উদ্বোধনী জুটি একটা দুশ্চিন্তার কারণ।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, নতুন বলে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ।এটা শুধু ওয়ানডে না, তিনটি ফরম্যাটেই এই জুটির ওপর নির্ভর করে দলের মনোভাব।নতুন বলেই মিডল অর্ডার চলে আসলে বিপদ হয়ে পরে।তামিম-সৌম্যর ওপেনিং পার্টনারশিপ ভালো ছিল, মাঝে মাঝে এমন হয়েছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভাল করার ফলে পুরো দল ভাল খেলেছে।
‘আমাদের ব্যর্থতা তামিম ইকবালের সাথে নিয়মিত ভাল করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি’ বলেন তিনি।
৪. শক্তির জায়গা হওয়া উচিত স্পিন
নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, পেস বোলিং-নির্ভর অ্যাটাক গড়ার সময় এখনো বাংলাদেশের হয়নি। কন্ডিশন যেমনই হোক স্পিনকে মূল শক্তি হিসেবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
‘উপমহাদেশের বাইরের দলগুলোতে দু’একজন থাকে যারা স্পিন বলে ভাল খেলে।বাকিরা কিন্তু সেভাবে স্পিন বলে খেলতে পারে না।’
সেজন্যে তিনি মনে করেন বাংলাদেশ দলের উচিত স্পিন বলের উপর গুরুত্ব দেওয়া।
৫. ছন্দে ফেরার জন্য শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশের ছন্দটা অনুপস্থিত বলে মনে করেন এই ক্রিকেট কোচ।
তিনি বলেন, একদম প্রথম স্পেলে দুটি বা তিনটি উইকেট ফেলে দিলে ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষায় পরিবর্তন ঘটে। এটা পুরো ম্যাচেই দলকে চাঙ্গা রাখে। আবার ব্যাটিংয়েও ‘শুরুর জুটির’ ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
‘বাংলাদেশ শুরুটা ভাল করলে মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডার অনায়াসে একটা সংগ্রহ দাঁড় করায় কিন্তু সেটা না হলে বিপরীত ঘটনা ঘটে।
সুত্রঃ বিবিসি বাংলা
কেআই/ এআর