ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

টিভিতে রোনালদোর অসদাচরণ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৮, ২৩ জুলাই ২০১৮

ব্যবসার কাজে চীন সফরে গিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। নতুন ক্লাব জুভেন্তাসের হয়ে এখনও অভিষেক হয়নি ফুটবল তারকার। কিন্তু এরই মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি।

দুইদিনের বেইজিং সফরের সময় রোনালডো গত শুক্রবার সেখানে একটি টিভি অনুষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে উপস্থিত হন। শুধু তাই নয়, আরও অবাক করার মতো কাণ্ডও করেছেন রোনালদো।

জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে স্টুডিওতে পৌঁছানো রোনালদো। ফলে মোট ৪৫ মিনিটের অনুষ্ঠানের সময় কাটছাঁট করে ফেলতে হয়। সাক্ষাৎকার চলাকালীন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উপস্থাপক চিনা সঙ্গীতশিল্পী গাও জিয়াও সং তাকে ইংরেজিতে অবসর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করতেই। এই প্রশ্ন শুনে অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে তিনি বলে ফেলেন, এটাই কিন্তু শেষ প্রশ্ন। আর আমি এখন আমার ফুটবল জীবনের সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।

চীনের টিভি চ্যানেলের ওই অনুষ্ঠানে এমনকি, দৃশ্যগ্রহণের সময় রোনালদো এমনকি অনুষ্ঠানের পরিচালককেও স্টুডিও থেকে বের করে দেন!

রোনালদোর ব্যবহারে অবাক হয়ে গাও ওয়েবসাইটে লিখেছেন, এটাই শেষ প্রশ্ন বলে নিয়েছিলাম ক্রিস্টিয়ানোকে। কিন্তু ওর কাছ থেকে এতটা রুঢ় ব্যবহার পাব ভাবিনি। জানি না এই প্রশ্নটায় ওর কী সমস্যা হয়েছিল। আমি তো জানি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে তাকে বহুবার এই প্রশ্ন করা হয়েছে। এবং সেখানে অত্যন্ত ভদ্রভাবে তার উত্তরও দিয়েছে।

গাও ওয়েবসাইটে লেখেন, আমি রোনালদোকে অসম্ভব পছন্দ করি। এই জন্যই তার সাক্ষাৎকার নিতে রাজি হয়ে যাই। কিন্তু ওর ব্যবহার আমার অদ্ভুত লেগেছে।

গাও জানান, কী কী প্রশ্ন করা হবে তা আগেই লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছিল। রোনালদোর দল যা নিয়ে কোনো আপত্তি করেনি। অথচ জুভেন্তাসের তারকা আসল সময় কেন এতটা রেগে গেলেন তা তিনি বোঝেননি।

গাও দুঃখ করে বলেছেন, অতীতে তিনি বিল গেটস, বিল ক্লিন্টনদের মতো ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। কিন্তু কখনও কারও কাছ থেকে এরকম ব্যবহার পাননি।

রোনালদোর কথা যিনি চীনা ভাষায় অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন তিনি আবার বলেছেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য কোনো পুরুষকে বেছে নেওয়াটাই ভুল হয়েছিল। গাও এর বদলে কোনো সুন্দরী নারীকে এই কাজটা করতে দিলে রোনালদো নাকি অনেক বেশি সহযোগিতা করতেন। গাও অবশ্য মনে করেন, ওই অনুবাদক যা বলেছেন তাতে রোনালদোকেই অপমান করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা অতীতেও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক বিশেষ ধরনের হেডফোনের প্রচারের সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়, ফিফার দুর্নীতি নিয়ে। সে বারও তিনি মারাত্মক রেগে বলেছিলেন, ফিফা বা কাতারে কী হচ্ছে তা নিয়ে আমার কোনো উৎসাহ নেই।

সূত্র: সিজিটিএন

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি