ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

এই জয় এশিয়া কাপের প্রেরণা: মাশরাফি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১২, ২৯ জুলাই ২০১৮

গতরাতে সেন্ট কিটসে নতুন ইতিহাস রচিত হলো। তুমুল উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৮ রানে ধরাশায়ী করে বাংলাদেশ।

টেস্ট সিরিজে বাজেভাবে হারার পর এ জয়ের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। ক্যারিবিয়দের দংশনে ক্ষতবিক্ষত টাইগারদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্যও ওয়ানডে সিরিজটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটি ফুটে উঠে টাইগার কাপ্তান মাশরাফির কথায়।

ম্যাচ শেষে জানালেন সে কথা, আমাদের এই জয়টা প্রয়োজন ছিল। আপনি যদি শেষ কয়েক মাসের ফলাফল বিবেচনা করেন, তাহলে এই জয়ের জন্যে আমরা মরিয়া ছিলাম। এই সিরিজ জয় এশিয়া কাপে আমাদের প্রেরণা হিসেবে কাজে দেবে।

প্রথম দুটি ম্যাচে ১-১ এ সমতায় থাকায় সেন্ট কিটসেরে এই ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। প্রথম ম্যাচ ৪৮ রানে জিতে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে তীরে এসে তরী ডুবে যায়। হাতের মুঠোয় থেকে ম্যাচ শেষ ওভারে বেরিয়ে যায়। মাত্র তিন রানে টাইগার বধ করে ক্যারিবিয়রা। তাই শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য তেতে ছিল গোটা দল। অবশেষে এলো সেই রবিবাসরীয় জয়।

এই জয়কে এশিয়া কাপে আত্মবিশ্বাসের রসদ হিসেবেই দেখছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। পুরো ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে মাশরাফির বলেন, ‘ক্রিকেট সব সময়ই মনস্তাত্ত্বিক খেলা। শেষ ম্যাচটি হেরে গেছি। কিন্তু আমার মনে হয় ছেলেরা আজকে অতি মাত্রায় পেশাদার ছিল। ওরা সবাই ভালোর ছোঁয়াতে ছিল।’

সিরিজ জিতলেও ভুল গুলো পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারছেন না মাশরাফি। তিনি মনে করেন এই জয় কোনওভাবেই দলের খাদগুলো লুকাতে পারবে না, ‘আমার মনে হয় না সিরিজ জয়ই সব কিছু। কারণ আমাদের অনেক জায়গা আছে যেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের ফিল্ডিং নিয়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলটা এখনও সিনিয়র নির্ভর। সিনিয়রা যেদিন হাল ধরেন সেদিন ম্যাচ জেতে টাইগারা। গত ম্যাচেও তাই হয়েছে। ৩০১ রানের বিশাল স্কোর করতে অবদান রাখেন সিনিয়রাই। সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ঝড়ো অর্ধশতক করেন মাহমুদুল্লাহ। সঙ্গী হয়ে স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করেছেন সাকিব, মুশফিক ও মাশরাফি। সিনিয়ররা ভূমিকা রাখলেও জুনিয়রদের আরও দায়িত্ব নেওয়ার পক্ষে মাশরাফি, ‘তামিম-সাকিব ও মুশফিক সবাই ভালো ছিল। জুনিয়রদের এখন এগিয়ে আসতে হবে।’

বোলিংয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন মাশরাফি ও মেহেদী মিরাজ। প্রথম দশ ওভার দেখেশুনে বল করেন তাঁরা। প্রথম আঘাতটিও আসে এই সময়ই। মাশরাফি ফেরান গেইলের সঙ্গীকে। পরে গেইল যখন দানবীয় রূপ ধারণ করছিলেন তখন মাশরাফি বোলিংয়ে আনেন রুবেলকে। পুরো পরিস্থিতি সামলে গেইলকে বিদায় দিয়ে খেলায় ফেরান বাংলাদেশকে। সেই রুবেলকে কৃতিত্ব দিলেন মাশরাফি, ‘আমার মনে হয় রুবেল দারুণ কাজ করেছে। ওই সময় গেইলকে সরানো গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ সে রানের চাকা সচল রাখছিল।’

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি