ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

পাঁচ টাইগারেই ঘায়েল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৩৩, ২৯ জুলাই ২০১৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পেছনে রয়েছে দলের পাঁচ সিনিয়র খেলোয়াড়ের অবদান। তরুণেরা বরাবরের মতো তেমন অবদান রাখতে পারেন নাই। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল বেশ ধারাবাহিক। আর তাই ২০১৯ বিশ্বকাপ ঘিরে এখন থেকেই রঙিন স্বপ্ন আঁকছেন অনেকে। আর অনেকের এই স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিতে পারে এই পাঁচজন।

‘পাঁচটি তুলি’ কী, সেটি আগে খোলাসা করা যাক। ভারতীয় ক্রিকেটে শচীন-সৌরভদের যুগে একটা বিশেষণ প্রচলিত ছিল ‘ফ্যাবুলাস ফাইভ’—সংক্ষেপে ডাকা হয় ‘ফ্যাব ফাইভ’। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষণ ও অনিল কুম্বলে। ভারতীয় ক্রিকেটের পাঁচ দিকপাল। একটু ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের ক্রিকেটও এমন পাঁচ দিকপালে এখন রয়েছে।

দলে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণদের অভাব নেই। কিন্তু তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারছেন না এই নতুন খেলোয়াড়রা। আমাদের ‘ফ্যাবুলাস ফাইভ’—মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজে তামিমের ধারেকাছেও কেউ নেই। দুই সেঞ্চুরি আর এক ফিফটিসহ ২৮৭—ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফরকারী দলের পক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শুধু কী তাই? এই সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহক সেই ‘ফ্যাব ফাইভ’ই!

তামিমের পর সাকিব (১৯০), মাহমুদউল্লাহ (১১০), মুশফিক (১১০) ও মাশরাফি (৩৭)। শেষ নামটা দেখে কী হাসি পাচ্ছে? বরং দুঃখ লাগার কথা। যেখানে এনামুল হক, সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনের মতো প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ব্যাটসম্যান রয়েছেন, সেখানে মাশরাফি কীভাবে শীর্ষ পাঁচে! তাও আবার শুধু শেষ ম্যাচেই ২৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংস দিয়ে। এই সিরিজে তামিম-সাকিবের জুটির কথাও আলাদা করে বলতে হয়। তিন ম্যাচে দুজনের জুটিতে যোগ হয়েছে মোট ৩৮৫ রান। একটি ওয়ানডে সিরিজে যা বাংলাদেশের যে কোনো জুটির সর্বোচ্চ অবদান। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নির্দিষ্ট কোনো জুটির সর্বোচ্চসংখ্যক রানও।

এই সিরিজে যেমন, তিন ম্যাচে সাব্বিরের অবদান ২৭ (১২, ১২, ৩), মোসাদ্দেকের ১৪* (১১* ও ৩*)। যদিও বল হাতে উইকেট না পেলেও বেশ কার্যকরী ছিলেন তিনি। আর এনামুলের সংগ্রহ ৩৩ (০, ২৩, ১০)। এদিকে আরেকটি বিশ্বকাপ দোরগোড়ায়। বিশ্বকাপের দলে থাকতে তরুণেরা যদি এখন থেকেই সুযোগগুলো নিতে না পারেন তাহলে আর কবে?


সাকিবের বোলিং মনে ঘাই মারতে পারে। এই সিরিজে বোলার সাকিব খুব ভালো করেননি আবার খারাপও করেননি (৩ ম্যাচে ২ উইকেট, ইকোনমি ৫.১১)। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না, ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৬৯ ম্যাচে সাকিবের উইকেটসংখ্যা ১১২। এই সময়ের পরিসংখ্যানে বোলার সাকিবই সবার ওপরে। আর ব্যাটিংয়ে এই সময়ে বাংলাদেশ দলের মোট ১৭ হাজার ৯৮৯ রানের মধ্যে ৯৮৪৫ রানই তামিম-সাকিব-মাহমুদউল্লাহর। ৫৪ শতাংশ রান এসেছে এই চারজনের ব্যাট থেকে।

প্রতিশ্রুতি ভাঙলে গড়ে দিতে হয়। তরুণেরা সেই কাজটি যেহেতু করতে পারছে না তাই পাল্টায়নি সমর্থকদের আস্থার জায়গা। দল যেমন-ই করুক, ঘুরে ফিরে ভালো-মন্দের দাবিদার এই পাঁচজনই।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি