সাড়ে তিন বছরেই মাথা তুলতে শিখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ৭ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ২১:৫৫, ২৯ মে ২০১৯
শুধু স্বাধীনতা অর্জনই নয়, মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটি জাতিকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পান বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।
ওইদিনই বিশেষ বিমানে লন্ডন যান। সেখান থেকে ১০ জানুয়ারি মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন বাঙালীর প্রিয় নেতা।
তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত জনস্রোতে পেরিয়ে বাধভাঙা আবেগে সিক্ত জাতির পিতা শেখ মুজিব বলেছিলেন, আজ আমার জীবনের স্বাধ পূর্ণ হয়েছে। ওই রাতেই রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি সংসদীয় শাসন প্রবর্তন এবং নতুন মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক দায়িত্ব নিয়েই দেশ পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেন। ভেঙ্গে পড়া অবকাঠামো সংস্কারে শুরু হয় বিশাল কর্মযজ্ঞ।
১২ মার্চ স্বাধীনতার মাত্র ৫০ দিনের মধ্যে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়।
স্বল্পতম সময়ের মধ্যে গণপরিষদে অনুমোদন দেয়া হয় দেশের খসড়া শাসনতন্ত্র। ১৯৭২ সালের ৭ই মার্চ সংবিধানের আওতায় হয় দেশের প্রথম সংসদ নির্বাচন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর শুরু নতুন যাত্রা।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের আঘাত। স্বপরিবারে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বুলেটের আঘাতে লন্ডভণ্ড হয়ে যায় জাতির জনকের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার স্বপ্ন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুন:প্রবর্তন এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্তেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিলো বলে জানান এই রাজনীতিক।
১৯৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনের পরে ১৯৭১ সালের ৩রা জানুয়ারি জনপ্রতিনিধিদের শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছা আমার নাই। প্রধানমন্ত্রী আসে-যায়। কিন্তু যে ভালোবাসা ও সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছে, তা সারাজীবন মনে থাকবে। বঙ্গবন্ধুকেও মনে রেখেছে এই ভূখন্ডের মানুষ .... মনে রাখবে অনন্তকাল।