সুমি-মাশরাফির ভালোবাসার এক যুগ
প্রকাশিত : ১০:৩৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাশরাফি এক প্রেরণার নাম, এক সফলতার নাম। মাঠে ও মাঠের বাইরে মাশরাফির দর্শন অনেকেই অনুসরণ করেন। বিশেষ করে তার নেতৃত্বগুণ যে অসাধারণ তা যে কেউ স্বীকার করতে বাধ্য। অসাধারণ নেতৃত্বগুণ ও মেধায় পুরো দলকে বেধেছেন এক সুতোয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে যিনি নেতৃত্ব দিয়ে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায় সেই নড়াইল এক্সপ্রেসের জীবনে গতকাল ছিল একটি বিশেষ দিন। শুধু বিশেষ দিন বললে ভুল হবে, মাইলফলকও বটে। গতকাল তাঁর বিয়ের ১২ বছর পূর্ণ হলো।
২০০৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের জীবনের নতুন ইনিংস শুরু হয়। নড়াইল চিত্রাপাড়ের মেয়ে সুমনা হক সুমিকে যে এদিনেই বিয়ে করেন তিনি।
নড়াইল শহরের রূপগঞ্জে একটি কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর চিত্রা নদীর কোল ঘেষে গড়ে ওঠা চিত্রা রিসোর্টে বৌভাত অনুষ্ঠিত হয়।
দেখতে দেখতে কেটে গেছে মাশরাফির নতুন জীবনের ১২টি বছর। মানে, এক যুগে যুগলবন্দি তারা। দাম্পত্য জীবনে হুমায়রা এবং সাহেল নামে দুই সন্তানের জনক-জননী তারা।
মাঠে মাশরাফি যেমন সহখেলোয়াদের প্রাণভ্রমরা তেমনি পরিবারেও মাশরাফি অত্যন্ত দায়িত্ব পরায়ন। স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে আগলে রাখেন। সব মিলিয়ে মাশরাফি-সুমির এক যুগ কেটেছে ভালোবাসাময়।
স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে সুখের সংসার বাংলাদেশ ওয়ানডে দলপতির। গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর ছিল এ দম্পতির (মাশরাফি-সুমি) ১২তম বিবাহবার্ষিকী। মাশরাফি ও তার পরিবার কখনোই বিবাহবার্ষিকী এবং জন্মদিন ধূমধাম করে পালন করেন না। এক্ষেত্রে সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তারা। তবে এই দিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাশরাফি ভক্তসহ তার বন্ধুরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকেই মাশরাফি দম্পতির জন্য শুভ কামনা করেন তার অসংখ্য ভক্ত ও শুভাক্ষী। কেউ লিখেছেন, ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী ভাই-ভাবি।’
কেউ লিখেছেন, ‘নড়াইল তথা বাংলার ১৭ কোটি মানুষের মধ্যমনি ও গর্ব, ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফি বিন মর্তুজা কৌশিকের শুভ বিবাহবার্ষিকী। শুভ হোক আগামীর দিনগুলি।’
/ এআর /