তামিম ইকবাল ছাড়া এক হাতে ব্যাট ধরেছিলেন যারা
প্রকাশিত : ১৬:৩৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৫৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শনিবার বাংলাদেশের ৯ উইকেট যাওয়ার পর ব্যাট হাতে মাঠে নামেন তামিম ইকবাল। এরপর একটি বল খেলেন তিনি।
৪৬ ওভারের পাঁচ নম্বর বলে মুস্তাফিজ আউট হয়ে যান। কার্যত সেখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের ইনিংস। তবে তামিম ইকবাল ৪৭তম ওভারের শেষ বলটি খেলেন।
এরপর ২ ওভার তিন বলে মুশফিকুর রহিম স্ট্রাইক ধরে রেখে ৩২ রান তোলেন। যাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ হয় ২৬১। এর আগে দ্বিতীয় ওভারেই সুরঙ্গ লাকমলের বল হাতে জোরে আঘাত করায় মাঠ ছাড়েন তামিম।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর জানানো হয় পুরো এশিয়া কাপে ব্যাট করতে পারবেন না তামিম ইকবাল। ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে যেতে হবে তাকে। তামিম পুনরায় ব্যাট হাতে নামার দু`ঘন্টা আগে চিকিৎসক জানান তিনি এই এশিয়া কাপে আর খেলতে পারবেন না।
তবে এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে এভাবে ঝুঁকি নিয়ে নামায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেট ভক্তরা অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ ১৩৭ রানে জয় পেয়েছে এই ম্যাচে।
গ্রায়েম স্মিথ ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে একটি টেস্ট ম্যাচ বাঁচাতে ভাঙ্গা হাত নিয়ে মাঠে নামেন। ৮ ওভার ২ বল বাকি ছিল তখন ম্যাচের। স্মিথ মিচেল জনসন, ডগ বলিঞ্জারের একের পর এক বল ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন এক হাতে ভর করে।
তবে ঠিক ১০ বল বাকি থাকতে মিচেল জনসনের একটি বল ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বেড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে না পারলেও স্মিথের এই ইনিংস বহুদিন ক্রিকেট ভক্তরা মনে রেখেছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের ক্রিস ব্রডের ব্যাট থেকে ছুটে আসা একটি বল ঠেকাতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের বা হাতের বুড়ো আঙ্গুলে দুটি চিড় ধরে। যদিও তিনি ডান হাতি বোলার ছিলেন। চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দেন যাতে তিনি এই টেস্ট তো বটেই আরো ১০ দিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকেন।
কিন্তু তৃতীয় দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ল্যারি গোমেজ যখন একাই লড়ছিলেন, তখন সফররতদের নয় উইকেটের পতন ঘটে। ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন গোমেজ।
গোমেজ প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা শুরু করলে মারশাল ব্যাট হাতে মাঠে নেমে সবাইকে অবাক করে দেন। পরবর্তীতে মারশাল অবশ্য বলেন, ব্যাট করার ইচ্ছা ছিল না তার কিন্তু গোমেজ সেঞ্চুরির এতো কাছে ছিল যে তাকে নামতে হয়।
এটাই শেষ নয়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে বা হাতে কনুই পর্যন্ত ব্যান্ডেজ দিয়ে পেচিয়ে বল করতে নামেন ম্যালকম মার্শাল। ২৬ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে ৭ টি উইকেট নেন সেই ইনিংসে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা এই পেস বোলার মাত্র ৪১ বছর বয়সে মারা যান, ১৯৯৯ সালে। এগুলো বহুল আলোচিত ঘটনা। এছাড়া অনিল কুম্বলে ২০০২ সালে অ্যান্টিগা টেস্টে ভাঙ্গা চোয়াল নিয়ে বল করতে নামেন।
সে অবস্থাতে ব্রায়ান লারার উইকেট পান তিনি। ২০০৯ সালে ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডের ইয়ান বেল বাংলাদেশের বিপক্ষে ভাঙ্গা পায়ের পাতা নিয়ে খেলতে নামেন। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা
এমএইচ/এসি