এশিয়া কাপ- ২০১৮
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে ৫ আলোচিত বিষয়
প্রকাশিত : ১০:২৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১১:১৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তান লড়াই। উভয় দলই আফগানিস্তানের সঙ্গে সুপার ফোর পর্বে জয় পেয়েছে।সেই সঙ্গে ভারতের কাছে হেরেছে দু’দল। তাই ফাইনালে ওঠার জন্য আজকের ম্যাচ উভয় দলের জন্য বাঁচা মরার লড়াই। খাতা কলমে না হলেও পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচটি ২০১৮ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে রুপ নিয়েছে।
এশিয়া কাপ ২০১৮ এর জন্য বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান লড়াইয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যে বিষয়গুলো নিয়ে বিবিসির সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকার। যেখানে তিনি কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেন। যা ইটিভি অনলাইনের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশের ব্যাটিং
হান্নান সরকারের মতে খুব বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষার জায়গা নেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটিতে ইমরুল কায়েস মাঝে নামার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট খুব বিচক্ষণ ছিল। রশিদ খান ও ইমরুল কায়েস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলেছেন একসঙ্গে। রশিদের বল ইমরুল খেলবেন এই পরিকল্পনা মাথায় রেখে ইমরুলকে নিচে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
সৌম্য সরকার কী ধরণের ফর্মে আছেন সেটা একটা বিবেচনার বিষয় হতে পারে বলে মনে করেন হান্নান সরকার। সেক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন শান্ত’র পরিবর্তে তাকে নামানো যেতে পারে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমেদ ১৪৪, আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৭৪ ও ইমরুল কায়েস ৭২ রান তোলেন।
হান্নান সরকার বলেন, ‘মূলত অভিজ্ঞরাই পারফর্ম করছেন। যারা একটু সিনিয়র তারাই খুব ভালো খেলছে। যেমন লিটন দাস আফগানিস্তানের সঙ্গে কিছু রান করেছেন এবং শান্ত তেমন খেলতে পারছেন না। এসব বিবেচনা করেই একাদশ করা হবে।’
পাকিস্তানের শক্তির জায়গা
পাকিস্তানের স্বভাবজাত শক্তির জায়গা বোলিং। যদিও হংকংয়ের সঙ্গে একটি ম্যাচ ছাড়া পাকিস্তান তেমন ভালো বোলিং করতে পারেনি এই টুর্নামেন্টে। মূলত মোহাম্মদ আমিরের ফর্ম না থাকা ভোগাচ্ছে এই দলটিকে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন মোহাম্মদ আমির।
হান্নান সরকারের মতে, ‘বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানের বোলিং বেশ শক্তিশালী। তাদের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে।’
হান্নান সরকার মনে করছেন পাকিস্তানের এশিয়া কাপ তেমন ভালো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘হংকংয়ের সঙ্গে জয় ছাড়া পাকিস্তান এই এশিয়া কাপে খানিকটা নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে দুটো ম্যাচেই একদম বড় ব্যবধানে হেরেছে।’
ভারতের কাছে পাকিস্তান একটি ম্যাচে আট উইকেটে ও একটি ম্যাচে নয় উইকেটে হেরেছে। দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র তিন উইকেট নিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা।
হান্নান সরকারের মতে এমন ব্যবধানে হার যেকোনো দলের মানসিক শক্তিতে আঘাত হানে।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাংলাদেশ
পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ তিন বছরে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। শেষবার ২০১৫ সালে দুই দল একটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়। যেখানে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। সেই সিরিজে দুটি শতক হাঁকান তামিম ইকবাল, যিনি ইনজুরির কারণে এখন মাঠের বাইরে আছেন। এর আগে ২০১৪ এশিয়া কাপ ও ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়, যেই দুটি ম্যাচ খুব সামান্য ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
তবে আলোচনার বিষয় হচ্ছে- আরব আমিরাত কী পাকিস্তান হোম কন্ডিশনের সুবিধা পাবে কিনা! এ বিষয়ে হান্নান সরকার মনে করেন, ‘এখানে ঘরের মাঠের সুবিধা তেমন নিতে পারবে না। বাংলাদেশও চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখানে পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা চলে এসেছে। তবে গরমের বিষয়টা দুই দলের জন্যই কঠিন হবে। হোম গ্রাউন্ডের ব্যাপারটায় খুব বেশি সুবিধা পাকিস্তান নিতে পারবে না।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
এসএ/