এখানে মনের জোর দিয়ে কাজ চলে না : মাশরাফি
প্রকাশিত : ১১:৫৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
আজ টাইগারদের বাঁচা-মরার লড়াই। এশিয়া কাপের এই ম্যাচটি হতে পারে টাইগারদের শেষ ম্যাচ। আবার এটাই হতে পারে ট্রফি জেতার স্বপ্নের ম্যাচ। তবে সমীকরণ যাই হোক না কেনো বস্তবতা কঠিন। তীব্র গরম ও আর্দ্রতায় চার দিনের মধ্যে তিনটি ম্যাচ। মাঠেই প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কয়েকজন। আফগানিস্তান ম্যাচের পর তাই বাংলাদেশ দল চেয়েছে দুটি দিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে। ম্যাচের আগের দিনও ছিল কেবল ঐচ্ছিক অনুশীলন। মাশরাফি বিন মুর্তজা ছিলেন হোটেলেই। হালকা জিম করে আর বিশ্রাম নিয়ে কাটিয়েছেন সময়। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, শারীরিক সামর্থ্যের এতটা কঠিন পরীক্ষায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আগে কখনই পড়তে হয়নি।
এরই মধ্যে মাশরাফির পায়ের সেই সমস্যা তো আছেই। এখনও তাকে একটু খুঁড়িয়েই হাঁটতে হয়। কারণ পায়ে বেশ ব্যথা। এ রকম ব্যথা বা কিছু না কিছু সমস্যা আছে প্রায় সবারই।
মাশরাফির মতে, এখানকার কন্ডিশন শরীর থেকে এতটা শুষে নেয় মনের জোর দিয়েও কাজ চলে না। তবে সেটাকে অজহুাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না অধিনায়ক। পেশাদার হিসেবে মাঠে জয় করতে চান এই চ্যালেঞ্জও।
গত ম্যাচে গরমে দলের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে সবাই কতটা ফিট এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এই কন্ডিশনে টানা খেলা কঠিন। কিন্তু ম্যাচ হেরে গেলে এরপর সে সব বলে লাভ নেই। এবার দুটি ম্যাচ হেরেছি। হারের ধরন নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া কতটা কঠিন, লোকে এসব বুঝবে না। বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ নেই। মূল কথা হলো, খেলতে হবে, জিততে হবে। আমাদের কাছে লোকে সে রকম প্রত্যাশা করে। কাজেই জেতার জন্য খেলতে হবে। কিভাবে সেটা করা যায়, মাঠে চেষ্টা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যারিয়ারে কখনও এতটা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হইনি। আমরা দেশে যখন খেলি, ২৯-৩০ ডিগ্রিতে, ওই তাপমাত্রায় নরম্যালি ক্র্যাম্প হয় না। এর পরও মাঝেমধ্যে হয়ে যায়। কিন্তু এখানে একসঙ্গে ৩-৪ জনের ক্র্যাম্প হচ্ছে প্রায়ই। সবচেয়ে বড় সমস্যা, আমরা এখানে খেলে অভ্যস্ত নই। চারদিনের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলা ভীষণ কঠিন। আফগানিস্তানও খেলেছে, তবে ওরা এখানে অভ্যস্ত। ওরা ট্রেনিংই করে এখানে, এক সময় এখানেই ওদের হোম ছিল, অনেক ম্যাচ খেলেছে। আবু ধাবিতেই বেশি খেলেছে। ওদের জন্য একটু সহজ।’
এসএ/