মাশরাফির যে ‘মন্ত্রে’ পাকিস্তান বধ
প্রকাশিত : ১৩:৫৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৫:০৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ইনিজুরির কারণে আগেই দল থেকে ছিটকে পড়েছিলেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। গতকাল আবুধাবিতে অঘোষিত সেমিফাইনালে খেলা শুরুর আগে জানা গেলো দলের নিউক্লিয়াস সাকিব আল হাসানও স্কোয়াডে নেই। এমতাবস্থায় পাকিস্তানের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে এতটা শক্তিশালী দলকে হারানো স্বপ্ন নয় তো কী?
আগে থেকেই তামিম ইকবালকে হারিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অনেকটাই খর্বশক্তির, সাকিবকে হারানো মানে একই সঙ্গে দুজনকে হারিয়ে ফেলা। এমন একটা সময়ে দলের সবাই কীভাবে উজ্জীবিত করেছিলেন নিজেদের?
এর সুলোক সন্ধানে জানা গেলো, মাশরাফির একটি ‘মন্ত্র’ পাল্টে দেয় পুরো দলের মনোবল। উজ্জীবিত হয়ে উঠে টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে বধ করাও সম্ভব হয়।
‘যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে আসার সুযোগ নেই। হয় মরো, না হয় মারো।’ মাশরাফি বিন মর্তুজার এই মন্ত্রটাই কাল গায়ে মাখেন সতীর্থরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম ম্যাচ শেষে জানালেন এমনটাই।
কালকের ম্যাচে ৯৯ রান করা মুশফিককে প্রশ্ন করা হয় কিভাবে এ জয় সম্ভব হয়েছে। উত্তরে তিনি বলেন, বললেন, ম্যাচটা যুদ্ধ হিসেবে চিন্তা করে সবাই নিজেদের সর্বস্ব দেওয়ার জন্যই নেমেছেন। আর তাতেই পাকিস্তানকে হারিয়ে আরও একবার এশিয়া কাপের ফাইনালে চলে গেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে মুশফিক জানালেন সাহসী ব্যাটিংয়ের রহস্যও। জানালেন, ‘মাশরাফি ভাই আমাদের একটা কথা বলেন, আমরাও বলি : যুদ্ধের সময় পেছনে তাকানো যায় না। যদি আপনি ভাবেন আমি যুদ্ধে গিয়ে নিরাপদে থাকার চেষ্টা করব, তবে কাজ হবে না। হয় মারো, না হয় মরো-যে কোনো একটা করো। এটা আসলে বড় প্রেরণা। কারণ আপনি যখন যুদ্ধে থাকবেন, তখন আপনার অধিনায়ক কে, সেটি দেখবেন না, কে সেখানে আছে বা নেই তা-ও দেখবেন না।’
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৮.৫ ওভারে ২৩৯ (লিটন ৬, শান্ত ০, মুমিনুল ৫, মুশফিক ৯৯, মিঠুন ৬০ ইমরুল ৯, মাহমুদউল্লাহ ২৫, মিরাজ ১২, মাশরাফি ১৩, রুবেল ১, মুস্তাফিজ ১*; জুনাইদ ৪/১৯, আফ্রিদি ২/৪৭, হাসান ২/৬০, নওয়াজ ০/৩৯, মালিক ০/১৪, শাদাব ১/৫২)।
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২০২ (ফখর ১, ইমাম ৮৩, বাবর ১, সরফরাজ ১০, মালিক ৩০, শাদাব ৪, আসিফ ৩১, নওয়াজ ৮, হাসান ৮, ; মিরাজ ২/২৮, মুস্তাফিজ ৪/৪৩, মাশরাফি ০/৩৩, রুবেল ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ১/৩৮, সৌম্য ১/১৯)।
ফল: বাংলাদেশ ৩৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম
/ এআর /