ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

এশিয়া কাপ ফাইনাল

যে ৯ কারণে বাংলাদেশের হার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৭, ১ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

এশিয়া কাপে লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারলেন না মুস্তাফিজুর-রুবেলরা। বাংলাদেশের এই হারের পিছনে যেমন রয়েছে তাদের চাপ না নিতে পারার সমস্যা, তেমন বলতেই হবে ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারের ইস্পাত কঠিন মানসিকতা। বিশেষ করে ধোনি-কার্তিকের পর কেদার, ভুবি এবং জাডেজার লড়াই। এখন দেখে নেওয়া যাক ভারতের এশিয়া কাপ জয়ের কয়েকটি কারণ।

কেদার-কুলদীপদের বোলিং: বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন এবং মেহদি অসামান্য শুরু করেছিলেন। যেভাবে তারা খেলছিলেন, এক সময় মনে হচ্ছিল তিনশো রান সহজেই উঠবে। কিন্তু, তখনই অসাধারণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন রোহিত। দারুণ অধিনায়কত্ব করেন। ওপেনিং জুটিতে ভাঙন ধরান কেদার যাদব।
লড়লেন একা লিটন: রূপকথার ইনিংস খেললেন বাংলাদেশের লিটন দাস। দলকে দারুণ একটা শুরুই শুধু দিলেন না, করলেন শতরানও। কিন্তু, মেহদি আউট হওয়ার পর অন্য দিকে লিটনকে সাহায্য করার মতো আর কাউকে পাওয়া গেল না।
ফ্যাক্টর যখন ধোনি: মিঠুনকে রান আউট বা লিটন দাসকে স্টাম্প— সব ক্ষেত্রেই বড় ফ্যাক্টর হতে দেখা গেল ধোনিকে। একাধিক সময় রোহিত শর্মাকে উপদেশ দিতে দেখা গেল। দলের সব থেকে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সামনে থেকে দলকে সাহায্য করে গেলেন।
ভারতের অনবদ্য ফিল্ডিং: যে দক্ষতায় রবীন্দ্র জাডেজা মিঠুনকে রান আউট করালেন, বা বুমরা বাউন্ডারি থেকে মাহমুদুল্লার ক্যাচ ধরলেন, তা ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথাই বলে। উইকেটের পিছনে ধোনির ছিলেন চমকপ্রদ।

আড়াইশোর কমে আটকে রাখা: প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে লড়াইতে ফিরে আসেন রোহিতরা। অনবদ্য বোলিং-ফিল্ডিং সঙ্গে রোহিত-ধোনির যুগলবন্দিতে অসাধারণ গেলপ্ল্যান ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। আড়াইশোরও কমে বাংলাদেশকে আটকে রাখেন ভারতীয় বোলাররা। ভারতের যা ব্যাটিং শক্তি তাতে এই রান খুবই সামান্য।

শিখর-রোহিত জুটি: রান কম থাকলেও বাংলাদেশ চাপ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। সবাইকে চমকে মেহদি হাসান মিরাজকে দিয়ে বোলিং সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। কিন্তু, শিখর ধাওয়ন ও রোহিত শর্মা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে ইনিংস শুরু করে পার্থক্য গড়ে দেন। শিখর অল্প রানে ফিরে গেলেও রোহিত শর্মা ফের বড় রানের দিকেই এগোচ্ছিলেন।

ধোনি-কার্তিক জুটি: দ্রুত রোহিত আর রায়ুডু ফিরে যাওয়ায় একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তখনই কার্তিকের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে তোলার কাজ শুরু করেন ধোনি-কার্তিক। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দলকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যান ধোনিরা।

জাডেজা-ভুবনেশ্বরের যুগলবন্দি: এমএস ধোনি ফিরে যাওয়ার পর সামান্য চাপ তৈরি হয়েছিল। আশঙ্কার মেঘ তৈরি করেছিল কেদার যাদবের চোট। আর তখনই জুটি বাঁধের জাডেজা এবং ভুবনেশ্বর কুমার। কোনও তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন। যে ভাবে জাডেজা এবং ভুবি খেললেন, তাতে একটি বারের জন্য মনে হয়নি তাঁরা চাপে রয়েছেন।

কেদারের লড়াই: আর সব শেষে বলতেই হবে কেদার যাদবের লড়াই। চোট পাওয়ার পরও দলের স্বার্থে মাঠে নামলেন। ঠিক মতো হাঁটতে না পারলেও তাকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। দলকে জিতিয়েই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন কেদার।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি