২৭২ রানের টার্গেট দিল টাইগাররা
প্রকাশিত : ১৮:২৯, ২১ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২২:৩৯, ২১ অক্টোবর ২০১৮
২৭১ রানে থামল টাইগারদের ইনিংস। জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে করতে হবে ২৭২ রান। আজ মিরপুরে এক চমৎকার লড়াইয়ে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে।
একটা সময় যখন মনে হচ্ছিল ২শ’ রানই ঢের। সেখানে বাংলাদেশের স্কোর ২৭০ ছাড়াল। চ্যালেঞ্জিং এই স্কোর গড়ার ক্ষেত্রে যে নামটি শুরুতেই আসবে সেটি হচ্ছে ইমরুল। এক অসাধারণ নৈপূণ্য দেখিয়েছিলেন টাইগার ওপেনার।
ইমরুল শুধু বড় স্কোরই করেছেন এমন নয়। দলকে মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তার আর অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের ৭ম উইকেট জুটিই বাংলাদেশকে নিরাপদ বন্দরে পৌছে দেয়। এখন বোলাররা কি করেন সেটিই দেখার পালা।
তিন উইকেটে ১৩৬ রান। এরপর ৬ রান যোগ করতেই পড়ে যায় তিনটি উইকেট। ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন ঘোর অমানিশায় টাইগাররা তখন হাল ধরেন ইমরুল ও সাইফউদ্দিন। তাদের দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিংয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে শতাধিক রান আসে। এর রানের উপর ভর করে বাংলাদেশ স্কোর ২৫০ ছাড়ায়।
আন্ডারডগ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ১৩৯ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন চোখে শর্শে ফুল দেখছিল তখন ইমরুল একজন সঙ্গী খুঁজছিলেন। পেয়েও গেলেন একজন নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। তিনি সাইফউদ্দিন। দলকে টেনে নিয়ে যান প্রায় দুইশ’র কোটায়।
মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৬ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর ১ রান যোগ করতেই পড়ে আরো ১ উইকেট। এই যখন অবস্থা তখন শক্ত হাতে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ও ইমরুল কায়েস।
তাদের ব্যাটে প্রাথমিক বিপরর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করে টাইগাররা। কিছুটা সফলও হন তারা। দলীয় ১৭ রানে দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দলের স্কোর টেনে ৬৬ পর্যন্ত নিযে যান অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। দলকে বড় স্কোরের স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন। হাত খুলে খেলছিলেন ইমরুল কায়েস। আর দেশেশুনে ব্যাট করছিলেন মুশফিক।
কিন্তু ১৪ ওভারের শেষ বলে মাভুতার বলে ক্যাচ দেন মুশফিক। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেন নি। কিন্তু জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়ক রিভিউ চেয়ে বসেন। পরে আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে সারেন্ডার করেন।
মুশফিক আউট হওয়ার পর মাঠে নামে মিঠুন। মিঠুনের সঙ্গে জুটি বাধেন ইমরুল। মিঠুনের পর যারা মাঠে নামের তারা কেউই দাঁড়াতে পারেন নি।
বাংলাদেশ দলের পক্ষে ইমরুলের ১৪৪ ছাড়াও ভালো করেছেন সাইফউদ্দিন। হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত করেছেন ৬৭ বল খেলে। মিঠুন করেছেন ৩৭ আর মুশফিক ১৫ রান। আর কেউই দুই অংশ ছুঁতে পারেন নি।
সূত্র: ক্রিকইনফো।
/ এআর /