অবসরের ঘোষণা দিলেন রাজিন সালেহ
প্রকাশিত : ২২:২৯, ৩ নভেম্বর ২০১৮
খেলা থেকে অবসরের কথা ভাবছিলেন তিনি। খেলা থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত আগে থেকে ঠিক থাকলেও ঘোষণাটা ছিল আনুষ্ঠানিক মাত্র। বিদায় বলার জন্য যেন কোনো মঞ্চের অপেক্ষায় ছিলেন রাজিন সালেহ। আর এ জন্য সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টেই খুঁজে পেলেন সেই মঞ্চ।
টেস্ট ভেন্যু হিসেবে সিলেটের অভিষেক ম্যাচের প্রথম দিন জাতীয় দলের এই সাবেক ব্যাটসম্যান জানালেন, জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শেষে চলমান মৌসুমটি খেলে ব্যাট-প্যাড তুলে রাখবেন তিনি।
আগামী ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ড খেলেই খেলোয়াড় জীবনের ইতি টানবেন বাংলাদেশের হয়ে ২৪ টেস্ট ও ৪৩ ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটার।
টেস্ট ভেন্যু হিসেবে সিলেটের অভিষেক ম্যাচে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আয়োজকরা। বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এসেছিলেন কেবল হাসিবুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক জুনিয়র ও রাজিন সালেহ। টেস্ট ভেন্যুর অভিষেক মঞ্চে তাদের জানানো হয় ফুলের শুভেচ্ছা, দেওয়া হয় স্মারক ক্রেস্ট।
সম্মাননা নিয়েই প্রেস বক্সে ছুটে আসেন রাজিন সালেহ ও এনামুল জুনিয়র। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসে রাজিন সালেহ অবসর ঘোষণা দেন। কিছুটা আবেগাক্রান্ত ও বিষাদময় কণ্ঠে জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘ভাই-বন্ধুরা সবাইকে বলতে চাই, ৫ তারিখ জীবনের শেষ ম্যাচটি খেলতে নামব। সবাই দোয়া করবেন।’
উল্লেখ্য, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার অভিষেক হয়েছিল ২০০১ সালে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাজিনের পথচলা শুরু ২০০৩ সাল । বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট দলে। ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের হয়ে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান সর্বশেষ ম্যাচটি ২০০৮ সালে খেলেছিলেন। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টটি ছিল রাজিনের ক্যারিয়ারের সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০০৬ সালের অক্টোবরে ভারতের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা সেই ম্যাচের পর খেলে যাচ্ছিলেন সাদা পোশাকে। পরে ছিটকে পড়েন টেস্ট দল থেকেও।
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে গেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১৪৭ ম্যাচে খেলে ১৮ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৮ হাজার ৩২৭ রান। এছাড়া ক্যারিয়ারের ২৪ টেস্টে ৭ হাফ সেঞ্চুরিতে তার নামের পাশে রয়েছে ১ হাজার ১৪১ রান। ৪৩ ওয়ানডেতে এক সেঞ্চুরিতে করেছেন ১ হাজার ৫ রান।
কেআই/ এসএইচ/